৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বাউফলে পুলিশের সামনে আসামিকে মারধর করে পা ভেঙে দিলো বাদীপক্ষ

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

পটুয়াখালী প্রতিনিধি ::: পটুয়াখালীর বাউফলে পুলিশের সামনে কবির খান (৩৭) নামের এক আসামিকে মারধর করে পা ভেঙে দিয়েছে বাদীপক্ষ। শুধু তাই নয়, আসামিকে চ্যংদোলা করে একটি ডোবার পানিতে নিক্ষেপ করা হয়। বুধবার (২৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাপাতালে এনে ভর্তি করা হয়েছে।

হামলার শিকার আসামির স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস অভিযোগ করে বলেন- বাড়ির একটি গাছ নিয়ে প্রতিপক্ষ শাহজাহান খানের সঙ্গে তাদের বিরোধ চলে আসছিল। গত ২২ এপ্রিল তার স্বামী কবির খান টিউবওয়েলে পানি আনতে গেলে প্রতিপক্ষ শাহজাহান খানের ছেলে সোহেলে খানের সঙ্গে তর্কবিতর্ক হয়। এ সময় সোহেল খান তার স্বামীর হাতে কামড় দিলে তার মাথায় থাকা পানিভর্তি কলসটি সোহেল খানের মাথায় পড়ে কেটে যায়। এ ঘটনায় ওই দিন সোহেল খান তাকেসহ তার শ্বশুর শরীফ আলী খান (৫৫), শাশুড়ি রানী বেগম (৫৫), তার স্বামী কবির খান (৩৭), দেবর সবুজ খান (৩২)কে আসামি করে বাউফল থানায় মামলা দায়ের করেন।

এ ঘটনার দিন বুধবার দুপুরে প্রতিপক্ষ শাহজাহান খানের সোহেল খান থানায় গিয়ে এসআই নজরুল ইসলাসহ কয়েকজন পুলিশ বাড়িতে নিয়ে আসে। পুলিশ এসে তার শ্বশুর শরিফ আলী খান ও দেবর সবুজ খানকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় তার স্বামী পুলিশের ভয়ে দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা করলে প্রতিপক্ষ শাহজাহান খানের বড় ছেলে সহিদুল, সোহেল ও ভগ্নিপতি রুহুল আমিনসহ ৭ থেকে ৮ জন তার পিছু নেয়। এক পর্যায়ে তাকে ধরে বেধড়ক মারধর করে পিটিয়ে বাম পা ভেঙে দেয়। এরপর তাকে চ্যাংদোলা করে ডোবার পুকুরে নিক্ষেপ করে। এ সময় তার বৃদ্ধ মা অদূরে দাঁড়িয়ে থাকা পুলিশের সহযোগিতা চাইলেও তারা এগিয়ে আসেননি। তারা নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছেন। পরে আহত অবস্থায় তার স্বামীকে উদ্ধার করে বাউফল হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

প্রতিপক্ষ শাহজাহান খানের ছেলে সহিদুল হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, কবির খানের সঙ্গে একটি গাছ নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। ২২ এপ্রিল কবির খানের নেতৃত্বে তার ভাই সোহেল খানকে মারধর করে জখম করে। এ ঘটনায় মামলা হলে বুধবার দুপুরে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তারের জন্য বাড়ি এলে দৌঁড়ে পালাতে গিয়ে কবির খানের পা ভেঙে যায়।

বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শোনিত কুমার গায়েন বলেন, একটি মামলার দুই আসামি গ্রেপ্তার করে পুলিশ থানায় নিয়ে আসার পর আমরা খবর পাই বাদী ও আসামিদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। আর এতে একজনের পা ভেঙে গেছে। পুলিশের উপস্থিতিতে মারামারির ঘটনা সত্য নয়।’’

সর্বশেষ