৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

কুয়াকাটার বুকে আরেক সেন্টমার্টিন “চরবিজয়”

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

বরিশাল বাণী:
গত কয়েক দশকে পর্যটন নগরী সাগরকন্যা কুয়াকাটার দক্ষিণ পূর্বে জেগে উঠেছে নতুন নতুন চর। এসব চরের সৌন্দর্যও অপরূপ। এরমধ্যে বঙ্গোপসাগরের বুকে জেগে উঠা বিশাল সম্ভাবনাময় চরবিজয়। প্রায় ১০ হাজার একর আয়তন নিয়ে জেগে ওঠা এ চরটি পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটা থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার পূর্ব-দক্ষিণে অবস্থিত। লাল কাঁকড়ার অবাধ ছুটোছুটি আর অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখরিত নতুন করে জেগে উঠা এই চরটি। সেইসাথে দিগন্ত জোড়া আকাশ আর সমুদ্রের নীল জল রাশি আছড়ে পড়ছে কিনারায়। এছাড়া সাদা গাংচিলের দল এদিক-ওদিক উড়ে যাচ্ছে ডানা মেলে।
মানুষহীন এ চরে মানুষের উপস্থিতি টের পেলেই লাল কাঁকড়ার দল ছুটে পালিয়ে যায় এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে। গর্তে লুকিয়ে থেকেও উঁকি দিয়ে পর্যটকদের গতিবিধি লক্ষ্য করে কাঁকড়াগুলো, যা বিমোহিত করে পর্যটকদের। ইতোমধ্যে দৃষ্টি কেড়েছে পর্যটকদের। বিজয়ের মাস ডিসেম্বরে চরটির সন্ধান পাওয়ায় এর নাম রাখা হয় ‘চরবিজয়’। আর এই চরে প্রতিদিনই আগত পর্যটকরা ছুটে যাচ্ছে এক নজর দেখতে।
পর্যটক মাহমুদা জানান, চরটি পাখি ও লাল কাকঁড়ার দখলে থাকা একটি দ্বীপ, যে কোনো মানুষকে এটি মুগ্ধ করবে। কুয়াকাটায় এসে যদি চর বিজয়ে না যাওয়া হয় তবে অপূর্ণতা থেকেই যাবে। এ যেন কুয়াকাটার বুকে এক টুকরো সেন্টমার্টিন।
কুয়াকাটা ট্যুরিজম ম্যানেজমেন্ট এসোসিয়েশন (কুটুম) এর সাধারণ সম্পাদক হোসাইন আমির বলেন, ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসে আমার সাথে কয়েকজন সাংবাদিক ও স্থানীয়রাসহ মোট ১২জন মিলে অজানার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে খুঁজতে খুঁজতে সন্ধান পাই এ চরের। তখনই নাম করন করা হয় চরবিজয়। স্থানীয়, পর্যটন ব্যবসায়ী ও বিশেষজ্ঞদের সাথে আলাপ করলে তারা সম্মতি জানায়। এরপর থেকেই কুয়াকাটায় আগত পর্যটক, স্থানীয় ব্যাবসায়ীসহ বিভিন্ন মানুষ চর বিজয়ে যান। তবে সরকার যদি এই দ্বীপকে ঘিরে পর্যটকদের জন্য বিশেষভাবে উদ্যোগ নেয় তবে এটি কুয়াকাটার অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে বিশ্বে পরিচিতি লাভ করবে।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার শংকর চন্দ্র বৈদ্য বলেন, ‘চরবিজয়’ বর্তমানে পর্যটন কেন্দ্রের আওতায় রয়েছে। যদিও চরটিতে এখন পর্যন্ত স্থায়ীভাবে বসবাসের উপযোগী হয়নি তবে ওখানে যাওয়ার জন্য ইতিমধ্যে স্পীডবোট চালু রয়েছে। পাশাপাশি ট্রলারের মাধ্যমে পর্যটকরা যাচ্ছে। এটাকে আরও ডেভেলপ করার জন্য আমরা কাজ করছি যাতে পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়ে।

এ এম মিজানুর রহমান বুলেট

সর্বশেষ