৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

গলাচিপায় তৈরী হচ্ছে ঐতিহ্যবাহী জামদানি শাড়ি

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

সঞ্জিব দাস, গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালীর গলাচিপায় এখন তৈরি হচ্ছে মুঘল আমলের ঐতিহ্যবাহী জামদানি শাড়ি। ইমন, জুম্মন, রাসেল, হৃদয়, আজিজুল ও কাওসার এরা ৬ জন ক্ষুদে কারিগর। এদের বয়স ১৪ থেকে ১৬ বছর। নারায়ণগঞ্জের একটি জামদানি শাড়ি তৈরীর কারখানায় কাজ করতো তারা সকলে। দীর্ঘ ৪ বছর ওই কারখানায় একাগ্রতার সাথে কাজ করে তারা হয়ে যায় শাড়ি বুননের কারিগর। তাদের সবার বাড়ী কিশোরগঞ্জ জেলার নান্দাইল উপজেলার কচুরিয়া গ্রামে। উপজেলার গলাচিপা সদর ইউনিয়নের ইটবাড়ীয়া এলাকায় রুবেল হাসান বাবুর অনুপ্রেরনায় তারা ৬ জন জামদানি শাড়ি তৈরীর কারখানা গড়ে তোলেন। প্রথমবারের মতো এ এলাকায় গড়ে ওঠে শাড়ি তৈরির কারখানাটি। এ কারখানার কারিগরের শাড়ি বুনন দেখতে প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকার মানুষ এসে এখানে ভিড় করে। গলাচিপা ইউনিয়নের বাসিন্দা রুবেল হাসান বাবু প্রধান কারিগর ইমনের ভগ্নিপতি। তার সুবাদে এই এলাকায় তারা জামদানি শাড়ি তৈরির কারখানা গড়ে তোলেন। মাত্র ২ মাস আগে কারখানার যাত্রা শুরু করেন তারা। কিন্তু পুঁজি স্বল্পতা তাদের এ কারখানার মজবুত ভীত গড়া অন্তরায় হয়ে পড়েছে বলে জানান কারখানার মালিক রুবেল হাসান বাবু। এ ক্ষুদে কারিগররা শুক্রবার ছাড়া সপ্তাহের ৬ দিনে ২ টি শাড়ি তৈরী করতে পারে। উৎপাদিত শাড়ির বেশিরভাগই বিক্রি করতে হয় সরঞ্জাম সরবরাহকারী মহাজনের কাছে। এ কারখানার মালিক রুবেল হাসান বাবু আরও জানান, শাড়ি প্রতি ৭০০-৮০০ টাকা লাভ হয়। পুঁজি স্বল্পতায় কারখানার পরিধি ও উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব হচ্ছে না। পর্যাপ্ত পরিমান টাকা সংগ্রহ করতে পারলে এখানে ভাল একটি বড় ধরনের কারখানা গড়ে তোলা সম্ভব হতো। কারিগর ইমন জানান, সরকারী-বেসরকারী সহায়তা পেলে সফলতা হাতের নাগালে এসে যাবে। এছাড়া পায়রা বন্দর ঘিরে দক্ষিনাঞ্চলে এ ধরনের কারখানা আরও গড়ে উঠলে উৎপাদিত শাড়ি রপ্তানি করে প্রচুর পরিমানে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা সম্ভব। ইমন আরও জানান, স্থানীয়রাও চাইলে এ শাড়ি কিনতে পারবেন। মানভেদে প্রত্যেকটি শাড়ির সর্বনি¤œ দাম রয়েছে ৩ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ৫০০০ টাকা। উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশিষ কুমার জানান, নিঃসন্দেহে এটি একটি ভাল উদ্যোগ। প্রয়োজনে আরো লোকদের প্রশিক্ষন দিয়ে কারিগর তৈরী করা হবে। এছাড়া এলাকার বিত্তবানদের এ ব্যাপারে এগিয়ে আসা উচিত।

সর্বশেষ