২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

গলাচিপায় যৌতুকের দায়ে এক সন্তানের জননীকে মারধর

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

সঞ্জিব দাস, গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালীর গলাচিপায় যৌতুকের দায়ে এক সন্তানের জননী শিরিন বেগম (২০) কে মারধর করেছে পাষান্ড স্বামী। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার গোলখালী ইউয়নের ছোট গাবুয়া গ্রামের ২নং ওয়ার্ডে। গত ২২ নভেম্বর রবিবার সকাল আনুমানিক ৭টার দিকে পাষান্ড স্বামী মো. জাফর প্যাদার নিজ বাড়িতে। যৌতুকের টাকা নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে চরাও হয়ে স্বামী স্ত্রীকে মারধর করে। এলাকাবাসী উদ্ধার করে ওই রাতেই তাকে গলাচিপা হাসপাতালে ভর্তি করে। হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার শাহরিয়ার বলেন, শিরিন বেগম এর শরীরে কালো কালো দাগ আছে আমার চিকিৎসা ধীনে ৩য় তলায় ৫নং বেডে ভর্তি আছে। এ বিষয় শিরিন বেগম বলেন, আমার একটি কন্যা সন্তান আছে। ওর বয়স এক বছর। নাম সুমাইয়া আক্তার। আমাকে যৌতুকের দায়ে আমার স্বামী প্রায়ই মারধর করে। আমার বাবার বাড়ি থেকে এপর্যন্ত আমি আমার স্বামীকে অনেক টাকা এনে দিয়েছি কিন্তু আমার স্বামী ভাল হয় না। সারারাত মাছ ধরার কথা বলে বাহিরে থাকে। এ বিষয় নিয়ে শিরিন বেগম এর বাবা আ. জলিল মোল্লা বলেন, আমার মেয়েকে ও প্রায়ই মারধর করায় দু’মাস আগে আমি একটি মামলা করেছিলাম। এলাকার ইউপি সদস্যসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা সালিশি ব্যবস্থা করে দিলে আমি আবার মামলাটি তুলে নিয়েছিলাম। কিন্তু দু’মাস যেতে না যেতেই যৌতুকের জন্য আবার আমার মেয়েকে ওর স্বামী মারধর করে। এলকাবাসী হাসপাতালে ভর্তি করলে আমি আমার মেয়েকে নিয়ে এখন আমি হাসপাতালে আছি। এ বিষয় নিয়ে শিরিন বেগম এর স্বামী মো. জাফর প্যাদার মুঠোফোনে ফোনে জানতে চাইলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। ইউপি সদস্য মনির হাওলাদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন। এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মো. নাসির উদ্দিন হাওলাদার বলেন, ঘটনাটি শুনেছি দু’পক্ষকে ডেকে মিমাংসার ব্যবস্থা করব। গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেব।

সর্বশেষ