৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

চরফ্যাশনে স্যানিটারী ইন্সপেক্টরকে চাঁদা না দেয়ায় ঔষধ ব্যবসায়ীকে অর্থদন্ড !

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

নিজস্ব প্রতিবেদক : ভোলার চরফ্যাশনের চেয়ারম্যান বাজারের মিরাজ মেডিকেল হল’র মালিক মিজানকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে ২০হাজার টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত করা হয়েছে। বুধবার ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ভোলা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো.মাহমুদুল হাসান এদন্ডাদেশ দেন। অভিযোগকারী চরফ্যাশন উপজেলা স্যানেটারী ইন্সপেক্টর নুরুল আমিন এসময় উপস্থিত ছিলেন। তবে মিরাজ মেডিকেল হল’র মালিক মিজান লিখিত অভিযোগে জানান, তারা সরকারের নিয়মনীতি মেনে ড্রাগ লাইসেন্স নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করছেন। ১০দিন আগে চরফ্যাশন উপজেলা স্যানেটারী ইন্সপেক্টর নুরুল আমিন তার ফার্মেসীতে গিয়ে ১০হাজার টাকা চাঁদা দাবী করেন। করোনার কারণে ব্যবসায়ীক অবস্থা ভালো না জানিয়ে মিরাজ টাকা দিতে অস্বিকৃতি জানালে তিনি তাকে হুমকি ধমকি দিয়ে চলে আসেন। টাকা না দেয়ায় তিনি ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাকে এনে এ অর্থদন্ড করিয়েছেন। অভিযোগে তিনি আরো বলেন,চেয়ারম্যান বাজারে ড্রাগ লাইসেন্স বিহীন বেশ কিছু ফার্মেসী থাকলেও কোনটিতে অভিযান না করে শুধু মাত্র আমার ফার্মেসীতেই অভিযান চালানো হয়েছে। এটা স্যানেটারী ইন্সপেক্টর নুরুল আমিনের ক্ষোভের বহিপ্রকাশ। এদিকে দুলার হাট নীলিমা জ্যাকব ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মনির আহমেদ শুভ্র সাংবাদিককে জানান, আমি অভিযুক্ত নুরুল আমিনকে হজ্ব কাফেলা ব্যবসায়ী হিসেবে চিনি। ওনিতো বারোমাস হজ্ব আর জমির দালালী নিয়ে ব্যস্ত থাকে স্যানেটারী ইন্সপেক্টরের কাজে কোন ভূমিকা চরফ্যাশনের কোথায় ও দেখতে পাওয়া যায়না তাকে। এমনকি দুলারহাটসহ চরফ্যাশনের বিভিন্ন হোটেলে পচাঁ বাসি খাবার বিক্রি হয়, সেখানে তাকে দেখা যায়না। এছাড়া আহাম্মদপুর গ্রামের নোমান চৌধুরী জানান, উপজেলা স্যানেটারী ইন্সপেক্টর নুরুল আমিন সরকারি চাকুরীজীবি হলেও সরকারি দায়িত্ব ফাঁকি দিয়ে দিনের বেশির ভাগ সময় ব্যয় করছেন হজ্জে লোক নেয়া এবং জমি কেনা বেচার ব্যবসায়। উপজেলা স্যানেটারী ইন্সপেক্টর নুরুল আমিন তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বিকার করে বলেছেন, আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এমন অভিযোগ করা হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শোভন কুমার বসাক জানান, অফিসে তার নিয়মিত হাজিরা আছে। তবে হাজিরা দিয়ে দায়িত্ব অবহেলার বিষয়টি খতিয়ে দেখবো।

সর্বশেষ