২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

জনবল সংকটে খুড়িয়ে চলছে ‘শেবাচিম হাসপাতাল’

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ চিকিৎসক ও চিকিৎসা কর্মী সংকটের মধ্যে দিয়ে চলছে দক্ষিণাঞ্চলের সর্ববৃহৎ সরকারী চিকিৎসা সেবা প্রতিষ্ঠান শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। ১৯৬৯ সালে বরিশাল সদর হাসপাতাল ও সররকারী শিশু সদন ভবনে ৩৬০ শয্যার এ হাসপাতালটির কার্যক্রম চালু করা হলেও ১৯৭৮ সালে বর্তমান নিজস্ব ভবনে ৫শ শয্যার হাসপাতাল চালু করা হয়। কিন্তু বছর তিনেক আগে ৩৬০ শয্যার জনবল কাঠামো নিয়েই হাসপাতালটির শয্যা সংখ্যা এক হাজারে উন্নীত করা হলেও জনবল মঞ্জুরী আর বৃদ্ধি করা হয়নি। আর এ জনবল সংকটের মধ্যেই সাম্প্রতিক করোনা সংক্রমনে হাসপাতালটির প্রায় অর্ধশত চিকিৎসক ছাড়াও আরো বিপুল সংখ্যক নার্স ও চিকিৎসা কর্মী আক্রান্ত হওয়ায় পরিস্থিতি আরো সংকটাপন্ন হয়ে পড়েছে।
গত কয়েক বছর ধরে তীব্র জনবল সংকটে হাসপাতালে চিকিৎসা ব্যবস্থা এখন মুখ থুবড়ে পরার উপক্রম। হাসপাতালটির পুরনো জনবল কাঠামো অনুযায়ী সোয়া ২শ চিকিৎসক পদের মধ্যে ১২৭টিই শূণ্য। অনেক বিভাগে রেজিষ্ট্রার ও সহকারী রিজিষ্ট্রারের পদগুলো পর্যন্ত শূণ্য। এর বাইরে হাসপাতালাটির বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান এবং সহযোগী অধ্যাপক ও সহকারী অধ্যাপক পদে মেডিকেল কলেজের শিক্ষকগন পদাধিকার বলে দায়িত্ব পালন করে থাকেন। কিন্তু মেডিকেল কলেজর ২২টি বিভাগীয় প্রধান পদের বিপরীতে মাত্র একজন পূর্ণাঙ্গভাবে দায়িত্বে রয়েছেন। ফলে তার প্রভাব পড়ছে হাসপাতালেও। চিকিৎসা ব্যবস্থায়ও মারাত্মক সংকট সৃষ্টি হচ্ছে। পুরো হাসপাতালের স্টাফ নার্র্স, টেকনোলজিষ্ট, ব্রাদার, ওয়ার্ড বয় থেকে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মী সংকট প্রকট। এরইমধ্যে সম্প্রতি ৫০ শয্যার একটি আলাদা করোনা ওয়ার্ড চালু করা হয়েছে হাসপাতালটিতে। এছাড়া করোনা সংক্রমিত রোগীদের জন্য কয়েকজন চিকিৎসক ও নার্সকে প্রশিক্ষন দিয়ে আলাদা আইসিইউ চালু করা হলেও জনবল নেই। চিকিৎসা সেবা প্রতিষ্ঠানটি যে কোন স্বাস্থ্য সংকটকালীন সময়ে সাধারন মানুষের সেবা করে আসছে। গত বছর ডেঙ্গু পরিস্থিতি যখন যথেষ্ঠ অবনিত ঘটে, তখন এক হাজার শয্যার হাসপাতালে ৪শ ডেঙ্গু রোগীকে চিকিৎসা দিয়েছে হাসপাতাল। বর্তমান করোনা মহামারীতেও ডেঙ্গুর মত দক্ষিণাঞ্চলের বেশীরভাগ রোগীই এ হাসপাতালের স্মরনাপন্ন হচ্ছে। কিন্তু চিকিৎসক ও চিকিৎসা কর্মীর অভাবে গোটা হাসপাতালটির কার্র্যক্রম চরম বিপর্যয়ের কবলে। এ ব্যপারে হাসপাতাল পরিচালক ডা. বাকির হোসেন সাংবাদিকদের জানান, জনবল সংকট অত্যন্ত পুরনো সমস্যা। বিষয়টি নিয়মিতভাবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও মন্ত্রনালয়কে অবহিত করা হয়ে থাকে। সরকার এ হাসপাতালের সব সমস্যা সমাধানে আন্তরিক বলে জানিয়ে অদূর ভবিষ্যতে এখানে আরো জনবল নিয়োগ দেয়া হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

সর্বশেষ