৩০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

তালতলীর প্লাবিত এলাকায় বিশুদ্ধ পানি ও খাবারের সংকট

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

হারুন অর রশীদ,আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধিঃ পূর্ণিমার জোয়ারে পায়রা নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে দুই-তিন ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে জেলার তালতলী উপজেলার নিম্নাঞ্চলের ১০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
তালতলী উপজেলার তেতুলবাড়িয়ায় ভাঙা বাঁধ দিয়ে এখনও ঢুকছে জোয়ারের পানি। দিনের পর দিন প্লাবিত হওয়ায় শুকনা খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট শুরু হয়েছে প্লাবিত গ্রামগুলোতে।

পূর্ণিমার জোয়ারে প্লাবিত এলাকাগুলোতে বিশুদ্ধ পানির খোঁজে এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে যেতে দেখা গেছে শতাধিক মানুষকে।

গ্রামগুলোর অধিকাংশ ডিপ টিউবয়েল পানির নিচে তলিয়ে থাকায় উঁচু স্থানের টিউবয়েল থেকে পানি সংগ্রহ করছেন সবাই। রান্না ও খাওয়ার পানির সংকট দেখা দিয়েছে। জোয়ারের পানি নামতে না নামতেই আবারো পানি উঠে তলিয়ে যায় গ্রামের পর গ্রাম।
নিদ্রাসকিনা গ্রামের তাছলিমা বেগম বলেন,ঘরে কয়েকদিন যাবত চুলা জ্বলছে না। পানি এখনো কমে নাই। পরিবারে বৃদ্ধসহ শিশু রয়েছে এদের নিয়ে মানবতার জীবনযাপন করছি।

তালতলীর তেতুঁলবাড়িয়া গ্রামের ৬০ বছরের বৃদ্ধা খোদেজা বেগম বলেন,পরিবারের সদস্যদের জন্য পাশের এলাকার আত্মীয়ের বাড়ি থেকে ৪ দিন ধরে খাবার আনছি। এলাকার অধিকাংশ টিউবয়েল পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় লবণ পানি ঢুকে পরেছে টিউবয়েলে। তাই খাবার পানি সংকটে এখন হাজারো মানুষ।

আমতলী উপজেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপকারী মোঃ আবুল কালাম আজাদ জানান, পয়রা নদীর পানু বিপদসীমার ৪৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।

বরগুনার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ নুরুল ইসলাম বলেন,যে সকল জায়গায় বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ দুর্বল হয়ে গেছে সেগুলো সংস্কার এবং পানি কমে গেলেই বাঁধ দ্রুত সংস্কারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তালতলী উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম সাদিক তানভীর জানান, এখন পর্যন্ত জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে ১০৭ পরিবারকে শুকনো খাবার দেওয়া হয়েছে।

সর্বশেষ