২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
কাঠালিয়ায় জমি বিরোধীদের জেরে কৃষক কে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ ।। কুয়াকাটায় জেলের জালে ২৬ কেজির কোরাল বাউফলে পুলিশের সামনে আসামিকে মারধর করে পা ভেঙে দিলো বাদীপক্ষ ববির নারী কর্মকর্তাকে ধর্ষণ: পুলিশ কর্মকর্তার বিচার শুরু উজিরপুরের ৫ ইউনিয়নের শ্রমিক দলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা। শনিবারও খোলা থাকবে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খাল ও ড্রেন পরিষ্কার না করায় মশার উপদ্রব : মেয়র খোকন সেরনিয়াবাত আমতলীতে বাবার বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ায় স্ত্রীর ২৭ স্থানে কোপালো স্বামী গৌরনদীতে সিএইচসিপি’র বদলী আদেশ প্রত্যাহারের দাবীতে মানববন্ধন ভোলায় ডাকঘরে পোস্ট মাস্টারের আইসক্রিম ডিলারের ব্যবসা

দশমিনায় প্রথম গ্রীষ্মকালীন লাল-হলুদ তরমুজ চাষ ! বাম্পার ফলন

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

সঞ্জয় ব্যানার্জী, দশমিনা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি।।
কৃষিতে দিন দিন সমৃদ্ধ হচ্ছে পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলা। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট উদ্ভাবিত গ্রীষ্মকালীন দুই জাতের তরমুজ চাষে বাম্পার ফলন হয়েছে এ উপজেলায়। এতে কৃষকের মুখে হাসি দেখা দিয়েছে। গ্রীষ্মকালীন বারি তরমুজ-১ লাল ও বারি তরমুজ-২ হলুদ চাষ সহজ ও লাভজনক।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে তরমুজ চাষে কৃষকদের সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে। এ জাতের তরমুজ মাঁচায় চাষ করতে হয়। দুই জাতের তরমুজের ভেতরের রং গাঢ় লাল ও খেতে বেশ সুস্বাদু। উপজেলার কৃষকরা মাঠে অন্য ফসলের পাশাপাশি গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ শুরু করছেন। এ গ্রামের চাষি মাঠে মাঁচায় ঝুলছে তরমুজ। কৃষকরা তরমুজ চাষে আগ্রহী হয়ে পড়েছেন। গ্রীষ্মকালীন এ জাতের তরমুজ কৃষকরা মাঁচায় চাষ করে। চাষের দুই মাস পর গাছে ফল ধরতে শুরু করে। বর্তমানে তরমুজের চাহিদা বেশি। আর প্রতিটি তরমুজ প্রায় ৪০-৫০ কেজি দরে বিক্রি হবে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, দশমিনা উপজেলার ৬জন কৃষকের মাঝে বিনা মূল্যে ১ হাজার ৫ শ’ গ্রীষ্মকালীন বারি তরমুজ-১ লাল ও বারি তরমুজ-২ হলুদ চারাসহ পলিথিন বিতরন করা হয়। প্রথম গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ শুরু করা হয়েছে এ উপজেলায়। আর গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষে কৃষকের কোন লোকসানের সম্ভাবনা নেই।
উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামের কৃষক রিপন মন্ডল জানান, এ উপজেলায় প্রথম গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ শুরু করেছি। কৃষি অফিস থেকে ৩শ’ চারা এনে ফলন পর্যন্ত ব্যায় হয়েছে ৪০হাজার টাকা। আর আসা করি বিক্রি হবে প্রায় দেড় থেকে ২ লক্ষ টাকা। গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষে কোন লোকসান হয় না বলেও তারা জানান। গ্রামের দৃশ্য পাল্টে গেছে। অনেক এলাকা থেকে কৃষকরা তরমুজ চাষ সম্পর্কে আমাদের কাছে জানতে আসেন। একই এলাকার আরেক চাষি হিরন জানান, আমিও কৃষি অফিস থেকে ৩শ’ চারা এনে পরিচর্যা করে ফলন পর্যন্ত ব্যায় করেছি ৪৭হাজার টাকা। আর আসা করি বিক্রিতে নামবে প্রায় দেড় থেকে ২ লক্ষ টাকা।
কাটাখালী গ্রামের কৃষক কামাল আকন জানান, চাষের দুই মাস পর ফল পাওয়া যায়। খরচ তুলনা মুলক কম হওয়ায় লাভ বেশি। আর তরমুজ চাষ করে স্বাবলম্বী হওয়া সম্ভাব। বর্তমানে প্রতিটি তরমুজ আড়াই থেকে ৩ কেজি ওজন হয়েছে আর এক মাস পড়ে বিক্রি শুরু হবে। তখন প্রতিটি তরমুজের ওজন হবে ৫-৭কেজি।
উপজেলা কৃষি অফিসার মো. আবু জাফর আহাম্মেদ জানান, গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ সহজ ও লাভজনক। গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ মাঁচায় করতে হয়।

সর্বশেষ