৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

দুমকিতে হাসপাতালে হামলা-ভাঙচুর, দুই কর্মকর্তাকে লাঞ্ছনার অভিযোগ

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

নিজস্ব প্রতিবেদক :: পটুয়াখালির দুমকিতে একটি বেসরকারি হাসপাতালে হামলা চালিয়ে কর্মকর্তাদের মারধর, আসবাবপত্র, ল্যাপটপ, সিসি ক্যামেরা ভাঙচুর করেছে স্থানীয় আ’লীগের নেতাকর্মীরা। বুধবার (৭ জুলাই) দুপুর ২টার দিকে এ সন্ত্রাসী হামলা, ভাঙচুরের ঘটনাটি ঘটেছে। উপজেলা আ’লীগের পক্ষ থেকে অবশ্য হামলা, মারধর ও লুটপাটের অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বরখাস্তকৃত নার্স মৃত্যুঞ্জয় মণ্ডল ও তার স্ত্রী যুথিকা মণ্ডলকে চাকুরিতে পুনর্বহালের জন্য স্থানীয় আ’লীগের তরফ থেকে বেশ কিছুদিন ধরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে চাপ দিয়ে আসছিল। বুধবার এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য বোর্ড মিটিং চলছিল। বোর্ড মিটিং চলাকালে উপজেলা আ’লীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে ১০/১২ জনের একটি সশস্ত্র বাহিনী লুথ্যারান হাসপাতালের অফিস কক্ষে জোরপূর্বক ঢুকে বরখাস্তকৃত নার্সদেরকে চাকুরিতে পুনর্বহাল করা হয়নি কেনো? প্রশ্ন করে পরিচালক সাগর রোজারিও ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা ডেভিড ঘোষকে শারীরিকভাবে মারধর করে ও আসবাবপত্র ভাঙচুর-তছনছ করে।

আরও জানা যায়, হামলাকারী অন্যান্য ক্যাডাররা হামলা ভাঙচুরের প্রমাণ নষ্ট করার উদ্দেশে হাসপাতালের বিভিন্ন স্থান থেকে সিসি ক্যামেরা ভাঙচুর, কন্ট্রোল কম্পিউটার ও ল্যাপটপ ভাঙচুর ও মেমোরিগুলোসহ ইলেক্ট্রনিক্স মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছার পূর্বেই হামলাকারীরা হাসপাতাল ত্যাগ করে দ্রুত চলে যায়।

হামলা ও মারধরের শিকার সাগর রোজারিও বলেন, আমরা এখানে চাকুরি করতে এসেছি। নিয়ম-কানুন ঠিক রেখে হাসপাতাল পরিচালনার মাধ্যমে এখানে মানুষদের সেবা করছি। হাসপাতালের শৃঙ্খলা রক্ষা করতে গিয়ে অন্যায়ভাবে আমাদের হেনস্থা করা হলো। বেআইনি কাজ করতে রাজি না হওয়ায় ক্যাডার বাহিনী হামলা-ভাঙচুর করলো।

তিনি জানান, আসলে হাসপাতালটি ওই ক্যাডার বাহিনীর কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে। ডেভিড ঘোষ অভিযোগ করেন, ক্ষমতাসীন আ’লীগের সভাপতির নেতৃত্বে এমন সন্ত্রাসী হামলা, ভাঙচুরের ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত। এমন বেআইনি হামলার ঘটনার বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে জানিয়ে বলেন, হামলাকারীরা যতই শক্তিশালী হোক তারা কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। আমরা আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।

হামলা-ভাঙচুর ও কর্মকর্তাদের মারধর প্রশ্নের জবাবে উপজেলা আ’লীগের সভাপতি মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, কাউকে মারধর কিংবা ভাঙচুর করা হয়নি। নার্স যুথিকা মণ্ডলকে কেনো চাকুরিচ্যুত করা হয়েছে তা জিজ্ঞাসা করেছি মাত্র।

দুমকি থানার ওসি (তদন্ত) মো. জাহাঙ্গীর আলম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের লিখিত কোনো অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

সর্বশেষ