৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ধর্ষককে নপুংসক করতে নতুন আইন

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

পাকিস্তানে ক্রমেই বাড়ছে ধর্ষণের ঘটনা। বিশেষ করে সংখ্যালঘুদের উপর নিপীড়ন মাত্রা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। এবার এই অপরাধ রুখতে ধর্ষকদের রাসায়নিকভাবে নপুংসক করতে আইন প্রণয়ন এবং যৌননিগ্রহ মামলায় দ্রুত শুনানিতে অনুমোদন দিয়েছে ইমরান খান সরকার।

সূত্রের খবর, মঙ্গলবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে ধর্ষণের শাস্তি হিসেবে রাসায়নিকভাবে নপুংসক করার পাশাপাশি ধর্ষকদের প্রকাশ্যে ফাঁসি দেওয়ার দাবি তোলেন ইমরান খান মন্ত্রিসভার অনেকেই।

দেশটির শাসকদল তেহরিক-ই-ইনসাফ তথা পাকিস্তান আইনসভার সদস্য ফয়সাল জাভেদ খান জানান, শিগগিরই নপুংসক সংক্রান্ত বিলটি পার্লামেন্টে পেশ করা হবে।
তবে এখনও সরকারিভাবে এ ব্যাপারে কোনও ঘোষণা দেয়নি পাকিস্তান সরকার। আইনের খসড়ায় পুলিশে বেশি সংখ্যক নারী নিয়োগ, ফাস্ট ট্র্যাকিং কোর্ট বসানো এবং সাক্ষীর নিরাপত্তার বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

ইমরান খান এটাকে গুরুতর বিষয় বলে উল্লেখ করে বলেছেন, নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা সরকারের কর্তব্য। এ ব্যাপারে কোনও গাফিলতি তিনি বরদাস্ত করবেন না। আইন দ্রুত পাস হয়ে কড়াভাবে প্রয়োগ হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছেন, নির্যাতিতারা নির্ভয়ে অভিযোগ দায়ের করতে পারেন। তার এবং তার পরিবারের সুরক্ষা এবং পরিচয় গোপন রাখার দায়িত্ব সরকারের।

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে লাহোরে ধর্ষণ করে খুন করা হয় এক ৭ বছরের শিশুকন্যাকে। ওই ঘটনার প্রতিবাদে ও ধর্ষকদের জন্য কড়া আইনের দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠেছিল গোটা দেশ। গত বছর ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছিল পাকিস্তানে ডাক্তারি অধ্যনরত ছাত্রী নম্রিতা চান্দানিকে। ২০২০ সালে পাকিস্তানে এক যুবতীকে গণধর্ষণের পর নগ্ন করে রাস্তায় হাঁটায় তিন যুবক। পাশবিক এই ঘটনাটি ঘটে রাওয়ালপিন্ডি শহরের ওয়ারিস খান এলাকায়। নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করলেও পরে ছাড়া পায় সে। সেবার প্রতিশ্রুতি দিলেও এতদিন নতুন কোনও আইন আনেনি পাকিস্তান সরকার। কিন্তু লাগাতার বাড়তে থাকা ধর্ষণের ঘটনার প্রেক্ষিতে এবার নয়া আইন আনতে চলেছেন ইমরান খান। সূত্র: এনডিটিভি, ট্রিবিউন ইন্ডিয়া, জিও টিভি

সর্বশেষ