৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

নিখোঁজের ৩ মাস পর মাটির নিচ থেকে কাঠমিস্ত্রির লাশ উদ্ধার

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় নিখোঁজের প্রায় ৩ মাস পর মাটির নিচ থেকে কাঠমিস্ত্রির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশ ওই কাঠমিস্ত্রির স্ত্রীসহ ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। স্ত্রীর পরকীয়ার জেরে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে ওই কাঠমিস্ত্রির পরিবার।

আজ মঙ্গলবার (২৬ মে) বিকেলে উপজেলার কান্দি ইউনিয়নের তালপুকুরিয়া গ্রামের বিলের মধ্যে একটি মাছের ঘের পাড় থেকে মাটি চাপা দেওয়া অবস্থায় পুলিশ ওই লাশটি উদ্ধার করে। উদ্ধারকৃত লাশটি ওই গ্রামের কেনারাম বাড়ৈর ছেলে কমলেশ বাড়ৈর (৪৫)। তিনি কাঠমিস্ত্রি কাজ করতেন।

কমলেশ বাড়ৈর ভাই রবেণ বাড়ৈ জানান, কমলেশের স্ত্রী সুবর্ণা বাড়ৈ (৪০) এর সাথে প্রতিবেশী মাছের ঘের ব্যবসায়ী মম্মথ বাড়ৈর দীর্ঘদিন ধরে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া ঝাটি ও মনোমালিন্য চলতো। এ ঘটনায় এলাকায় একাধিকবার সালিশ বৈঠকও করা হয়। কিন্তু এতেও কোন কাজ হয়নি। সুবর্ণা ও পরকীয়া প্রেমিক কমলেশকে হত্যা করেছে। ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে কমলেশ নিখোঁজ হয়। কমলেশের নিখোঁজের ঘটনায় গত ৩ মার্চ কোটালীপাড়া থানায় একটি জিডি করা হয়। জিডির সূত্রধরে পুলিশ তদন্তে নামে। গ্রামের বিভিন্ন জনকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করে। আজ মঙ্গলবার (২৬ মে) মাছের ঘেরপাড়ে গ্রামের বিপুল বাড়ৈ নামে এক লোক ঘাস কাটতে গিয়ে মাটি খুঁড়া দেখতে পান। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মাটি খুঁড়ে কমলেশের লাশ উদ্ধার করে।তিনি আরোও জানান, সুবর্ণা পরকীয়া প্রেমিক মম্মথর সহযোগিতায় কমলেশকে নির্মমভাবে হত্যা করে লাশ ঘেরপাড়ে মাটি চাপা দিয়ে রাখে। তিনি দোষীদের গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান।

কোটালীপাড়া থানার ওসি শেখ লুৎফর রহমান বলেন, প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করা হচ্ছে, পরকীয়া প্রেমের জের ধরে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পরে। এ ঘটনায় জড়িত কমলেশের স্ত্রী সুবর্ণা বাড়ৈ, সুবর্ণার পরকীয়া প্রেমিক মম্মথ বাড়ৈর ভাই কৃষ্ণ বাড়ৈ, সহযোগী বিষ্ণু বাড়ৈ ও মম্মথর বন্ধু কালু বাড়ৈকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধারের পর কমলেশের স্ত্রী সুবর্ণা কমলেশের লাশ শনাক্ত করেন। উদ্ধারকৃত লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে। এ ব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। প্রধান অভিযুক্ত মম্মথ বাড়ৈকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান চলছে।

সর্বশেষ