৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

নৌকা ডুবানো সেই নূর মোহাম্মদ মাস্টারই এবার নৌকার মাঝি

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

হারুন অর রশিদ, আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি।
২০১৭ সালের ইউপি নির্বাচনে বরগুনার তালতলী উপজেলার কড়াইবাড়িয়া ইউনিয়নে নৌকার বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় আ’লীগের ভোট ভাগাভাগিতে নিজে ডুবে এবং নৌকাকে ডুবিয়ে দিয়েছিলেন আগামী ২০ অক্টোবরের উপ- নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পাওয়া নৌকার মাঝি নূর মোহাম্মদ মাস্টার। সেই নির্বাচনে তিনি বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় কারনে সামান্য ভোটের ব্যবধানে হেরেছিলেন নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোঃ জসিম উদ্দিন মোল্লা।
উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের এপ্রিল মাসে উপজেলার কড়ইবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ মনোনিত প্রার্থী হিসেবে দল মনোনয়ন দিয়েছিলো মোঃ জসিম উদ্দিন মোল্লাকে। দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছিলেন প্রবীন আওয়ামীলীগ নেতা সাবেক তিন বারের চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মাস্টার। আর এই বিদ্রোহী প্রার্থীর কারনেই আওয়ামীগের ভোট ভাগাভাগিতে মাত্র ৩৯৬ ভোটে স্বতন্ত্র প্রার্থী মহামারী করোনায় আক্রান্ত হয়ে নিহত আলতাফ হোসেন আকনের কাছে হেরে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েছিলেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোঃ জসিম উদ্দিন মোল্লা। সেই নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী নূর মোহাম§দ মাস্টার ৩য় হয়েছিলেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলা ও ওই ইউনিয়নের একাধিক আ’লীগ নেতা-কর্মীরা জানান, গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের মধ্যে শুধু মাত্র ওই একটি ইউনিয়নের নৌকার বিদ্রোহী প্রার্থী থাকার কারনে দল সমর্থিত প্রার্থী হেরেছিলো। তখন নৌকা হেরে যাওয়ায় এ ইউনিয়নের বঙ্গবন্ধুর সৈনিকরা অনেক কষ্ট পেয়েছেন। এখন তারা সে সময়ে যার কারনে নৌকা ডুবেছে সেই প্রার্থীকে কতটা গ্রহন করতে পারবে এটা ভাবার বিষয়।
সে সময়ের নৌকা মার্কার দল মনোনিত প্রার্থী জসিম উদ্দিন মোল্লা মুঠোফোনে বলেন, ২০১৭ সালের ইউপি নির্বাচনে আমার নৌকা মার্কার বিরুদ্ধে প্রবীন আওয়ামীলীগ নেতা নূর মোহাম্মদ মাস্টার বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ার কারনে দলীয় ভোট ভাগাভাগিতে আমি সামান্য ভোটে হেরে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েছি। সে সময় বিদ্রোহী প্রার্থী না থাকলে নৌকা মার্কা বিপুল ভোটে বিজয়ী হতো।
উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ছোটবগী ইউপি চেয়ারম্যান মুহাঃ তৌফিকউজ্জামান তনু বলেন, উপজেলা ও জেলা আওয়ামীলীগের তরফ থেকে কড়াইবাড়িয়া ইউনিয়নের উপ-নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীদের প্যানেল তালিকায় ৩জনের নাম প্রস্তাব করে কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। আওয়ামীলীগের সভানেত্রী ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কেন্দ্রীয় মনোনয়ন সভায় নূর মোহাম্মদ মাস্টারকে মনোনয়ন দিয়েছেন। আশাকরি আমরা সকল দ্বিধাদ্বন্দ্ব ভুলে গিয়ে আওয়ামীলীগ মনোনিত প্রার্থীকে বিজয়ী করার লক্ষ্যে উপজেলা ও ইউনিয়ন আ’লীগের সকল পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা একযোগে মাঠে কাজ করবো।

উল্লেখ্য গত ১৬ জুলাই কড়াইবাড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ আলতাফ হোসেন আকন মহামারী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালের চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। তার অকাল মৃত্যুতে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদটি শুন্য হয়। গত সোমবার বিকেলে নির্বাচন কমিশন এক আদেশে ওই ইউনিয়নে উপ-নির্বাচনের তফসিল ঘোষনা করেন। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ তারিখ আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর, বাছাই ২৬ সেপ্টেম্বর, প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ৩ অক্টোবর, প্রতীক বরাদ্দ ৪ অক্টোবর ও ভোট গ্রহন ২০ অক্টোবর।

সর্বশেষ