১লা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

পটুয়াখালীতে হঠাৎ করেই বেড়েছে ডায়রিয়ার প্রকোপ

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

পটুয়াখালী প্রতিনিধি : হঠাৎ করেই পটুয়াখালীতে শুরু হয়েছে ডায়রিয়ার প্রকোপ। গত এক সপ্তাহে অন্তত ৬০ জন রোগী পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
ডায়রিয়া ওয়ার্ডে প্রয়োজনীয় সংখ্যক শয্যা না থাকায় ওয়ার্ড ও করিডোরের মেঝেতে ঠাঁই নিতে বাধ্য হয়েছেন অনেকে। চিকিৎসক, নার্স ও জনবল সংকটে রোগীদের সামলাতে রীতিমত হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের তথ্য মতে, গত এক সপ্তাহে অন্তত ৬০ জন ও একদিনে ১০ জন রোগী পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালের ডায়রিয়া বিভাগে ভর্তি হয়েছেন। এরমধ্যে বেশিরভাগই নারী ও শিশু। মার্চের মাঝামাঝি থেকে ডায়রিয়ার প্রকোপ বাড়তে থাকে। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় তা আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পায়। এ পর্যন্ত ৬৮ জন রোগী ডায়রিয়ার চিকিৎসা নিয়েছেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ডায়রিয়া বিভাগে মাত্র ১৫টি বেড রয়েছে। প্রয়োজনীয় সংখ্যক বেড না থাকায় রোগীরা হাসপাতালে মেঝেতে ও করিডোরে বিছানা পেতেছেন। এতে করে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে রোগীদের। তাদের মধ্যে শিশু, নারী ও বৃদ্ধ বেশি। মেঝের নোংড়া ও অপরচ্ছিন্ন পরিবেশে গাদাগাদি করে থাকতে হচ্ছে তাদের। এতে রোগীরা চরম ভোগান্তিতে রয়েছেন।

চিকিৎসাধীন কয়েকজন রোগী জানান, বেড না থাকায় মেঝের নোংড়া পরিবেশে তাদের থাকতে হচ্ছে। এতে করে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা আরও বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।

আ: রাজ্জাক নামের এক ব্যক্তি জানান, গতরাতে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। কিন্তু দুপুর পর্যন্ত কোনো চিকিৎসকের দেখা পাননি। শুধুমাত্র সেবিকারা এসে রাতে স্যালাইন দিয়েছেন।

পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আব্দুল মতিন বলেন, অধিদপ্তর থেকে কোনো বিষয়ে কথা বলতে নিষেধ আছে। তবে, এমনিতেই হাসপাতালে প্রয়োজনীয় সংখ্যক ওষুধপত্র আছে, কিন্তু চিকিৎসক ও জনবলের ঘাটতি আছে। আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছি রোগীদের সু-চিকিৎসা নিশ্চিত করতে। এ সময় সাধারণত ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ে। আমাদের কাছে পর্যাপ্ত ওষুধ এবং স্যালাইন মজুত রয়েছে। এ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।’

সর্বশেষ