বগুড়ার আদমদীঘিতে ঋণের চাপে বিধান বর্মন (৫২) নামের এক ব্যবসায়ী ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। বিধান উপজেলার নশরতপুর ইউপির পুশিন্দা হিন্দুপাড়ার অনিল বর্মনের ছেলে। রবিবার সকাল সাড়ে ১০টায় মুরইল বাজারে তার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের নির্মাণাধীন ঘরের ভেতর তিনি আত্মহত্যা করেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিধান বর্মন তার এবং স্ত্রীর নামে বিভিন্ন সমিতি (এনজিও) ও ব্যক্তিদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা ঋণ করেন।
ঋণের চাপে কিছুদিন আগে তিনি আত্মগোপনে ছিলেন। বেশ কয়েক দিন আগে তার মুরইল বাজারে মেসার্স তৃপ্তি ট্রেডার্স নামের রড-সিমেন্টের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে তিনি ফিরে আসেন। বিষয়টি পাওনাদাররা জানতে পেরে টাকা আদায়ের জন্য বাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে এসে টাকা পরিশোধ করার জন্য চাপ দেন। শুধু তা-ই নয়, কয়েক দিন আগে জনৈক পাওনাদার টাকা না পেয়ে তার বাড়ি থেকে গরু নিয়ে চলে যায়।বিধান বর্মনের ছেলে মিহির বর্মন জানায়, রবিবার সকালে পাওনাদাররা মুরইল বাজারে বাবার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে এসে টাকার জন্য চাপ দেয়। এ সময় তার বাবা পাওনাদারদের বসিয়ে রেখে পাশের নির্মাণাধীন ঘরে সবার অজান্তে বৈদ্যুতিক পাখার রডের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। ঘর থেকে বেরিয়ে আসতে দেরি হওয়ায় স্থানীয়রা ঘরের জানালা দিয়ে দেখেন, তার বাবা গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলে রয়েছে।
আদমদীঘি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তারেক হোসেন জানান, খবর পেয়ে বেলা সাড়ে ১১টায় বিধান বর্মনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়া গেলে তার মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।