৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

পাচার অপহরণে বাংলাদেশ-ভারতে ২০০ মিটার সুড়ঙ্গ

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

উপরে কাঁটাতারের বেড়া। সারাক্ষণ বিএসএফ টহল দিচ্ছে। নিচে সুড়ঙ্গ ধরে যাতায়াত চলছে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে! এক অপহরণকাণ্ডের তদন্তে নেমে এমনই সুড়ঙ্গের সন্ধান মিলল ভারতের আসামের করিমগঞ্জ জেলার বালিয়ায়। দুষ্কৃতিদের এই আন্তর্জাতিক যোগাযোগ ব্যবস্থায় বিস্মিত খোদ জেলা পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তারা।
রবিবার নিলামবাজার থানার শিলুয়া গ্রামের বাসিন্দা দিলোয়ার হোসেনকে তুলে নিয়ে যায় এক দল দুষ্কৃতী। পরে তার বাড়িতে ফোন করে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করেন তারা। বাংলাদেশের ফোন নম্বর দেখে চিন্তা বেড়ে যায় পরিবারের সদস্যদের। পুলিশের পরামর্শে শুরু হয় মুক্তিপণ কমানোর জন্য দর কষাকষি। কিন্তু অপহরণকারীরা অনড় থাকায় পাঁচ লাখ টাকা দিতেই সম্মত হয় পরিবার। এর পরেই ফোনের অন্য প্রান্ত থেকে কড়া নির্দেশ আসে, কাউকে না জানিয়ে টাকা জমা করতে হবে পার্শ্ববর্তী নয়াগ্রামের এলিমুদ্দিনের কাছে। সূত্র পেয়ে যায় পুলিশ। বুধবার এলিমুদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয়। সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় শুরু হয় জোর তল্লাশি। এতে সুড়ঙ্গের বিষয়টি প্রকাশ হয়ে যেতে পারে আশঙ্কায় অপহরণকারীরা দিলোয়ারকে ছেড়ে দেন। ফিরে এসে তিনিই পুলিশকে সুড়ঙ্গের কথা জানান।

শুক্রবার দল বেঁধে পুলিশ কর্মকর্তরা বালিয়ায় যান। নেতৃত্বে ছিলেন পুলিশ সুপার ময়ঙ্ককুমার ঝা। জঙ্গলঘেরা এলাকায় প্রায় ২০০ মিটার দীর্ঘ সুড়ঙ্গ। বাইরে থেকে বিষয়টি কল্পনা করাও কঠিন। মনে হয়, সাধারণ এক গর্ত। দেলোয়ার জানান, বাংলাদেশ প্রান্তেও ওই একই চেহারা। ওই পথে দুষ্কৃতীরা নিয়মিত যাতায়াত করে। চলে পাচার বাণিজ্যও।
পুলিশ সুপার জানান, তৎক্ষণাৎ সুড়ঙ্গের ভারত-মুখ বন্ধ করতে বিএসএফকে বলা হয়েছে। তিনি তাদের কমান্ডান্টের সঙ্গেও যোগাযোগ রেখে চলেছেন। আন্তর্জাতিক অপহরণকারী চক্রের এ পারের সবাইকে শিগগিরই আটক করা হবে বলে তিনি আশ্বস্ত করেন। তিনি জানান, এরই মধ্যে বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।

সর্বশেষ