৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

পাবলিক পরীক্ষায় বডি চেইঞ্জ করে পরীক্ষায় অংশ নিতে সহায়তার দায়ে প্রভাষকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা!

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

হারুন অর রশিদ, আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি।
বরগুনার আমতলী বকুলনেছা মহিলা ডিগ্রি কলেজের পদার্থ বিজ্ঞানের প্রভাষক সৈয়দ মোহাম্মদ ওয়ালিউল্লাহর বিরুদ্ধে পাবলিক পরীক্ষায় বডি চেইঞ্জ করে পরীক্ষায় অংশ নিতে সহায়তার দায়ে জিআর-১৫৪/১৮নং মোকদ্দমায় আমতলী উপজেলার বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিজ্ঞ বিচারক গ্রেফতারী পরোয়ানার আদেশ দিয়েছেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের মে মাসের ৩ তারিখ আমতলী বকুলনেছা মহিলা কলেজের এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে উচ্চতর গনিত ২য় পত্রের পরীক্ষার দিন কেন্দ্রের দায়িত্ব প্রাপ্তরা পরীক্ষার্থী মোঃ আরিফুর রহমানের প্রবেশপত্র ও রেজিষ্টেশন কার্ড যাচাইকালে দেখতে পান যে, প্রবেশপত্র ও রেজিষ্টেশন কার্ডে মোঃ মেহেদী হাসান এর ছবি। তখন পরীক্ষা কেন্দ্রের দায়িত্ব প্রাপ্তদের জিজ্ঞাসাবাদে আরিফুর রহমান জানান যে, সে ২৫ হাজার টাকা চুক্তিতে আসল পরীক্ষার্থী মেহেদি হাসানের সাথে চুক্তিবদ্ধ হেেয়ছে তাকে জিপিএ ৪ পাইয়ে দিবে। সে মেহেদি হাসানের কাছ থেকে নগদ ২০ হাজার টাকা নিয়ে বডি চেইঞ্জ করে তার পরীক্ষা দিতে আসছে। ওই সময় কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্তরা আরিফুর রহমানকে পুলিশে সোপর্দ করে।
ওই ঘটনায় বকুলনেছা মহিলা ডিগ্রী কলেজের তৎকালীন (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যক্ষ মোঃ মজিবুর রহমান পাবলিক পরীক্ষা (অপরাধ) ১৯৮০ এর ৩ (ক) ও (খ) ১৩ ধারায় বডি চেইঞ্জ করে পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার দায়ে আরিফুর রহমানকে আসামী করে আমতলী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
ওই মামলায় আসামী আরিফুর রহমানকে (১৯) গ্রেফতার দেখিয়ে আমতলী উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি প্রদান করার জন্য প্রেরণ করে। আসামী আরিফুর রহমান জবানবন্দিতে বকুলনেছা মহিলা ডিগ্রী কলেজের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক সৈয়দ মোহাম্মদ ওয়ালি উল্লাহর সম্পৃক্ত থাকার বিষয়টি প্রকাশ করেন। ওই সময় আদালতের বিজ্ঞ বিচারক বিষয়টি পিবিআই পুলিশকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেন দেন। পরবর্তীতে তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই পুলিশের পরিদর্শক (পটুয়াখালী) মোঃ আব্দুস সোবাহান সৈয়দ মোহাম্মদ ওয়ালি উল্লাহর নাম তদন্ত প্রতিবেদন থেকে বাদ দিয়ে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
আজ (১৭ জানুয়ারী) মামলার ধার্য তারিখে আদালতে পিবিআই পুলিশের দেয়া তদন্ত প্রতিবেদন সন্তোষজনক না হওয়ায় আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মোঃ আরিফুর রহমান মামলাটি আমলে নিয়ে সৈয়দ মোহাম্মদ ওয়ালি উল্লাহকে ওই মামলায় অর্šÍভূক্ত করে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আসামী পক্ষের আইনজীবি অ্যাডঃ এম. ইসহাক বাচ্চু।

সর্বশেষ