অনলাইন ডেস্ক :: করোন সংক্রমণ ক্রমাগত বৃদ্ধি পাওয়ায় শনিবার (২৬ জুন) থেকে ১ জুলাই পর্যন্ত মঠবাড়িয়া, নেছারাবাদ, ভান্ডারিয়া ও পিরোজপুর পৌরসভা এলাকায় সাত দিনের জন্য কঠোর লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা প্রশাসন। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মানুষকে ঘরের বাইরে না যেতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তবে নির্দেশনা উপেক্ষা করে কারণে-অকারণে মানুষ শহরের রাস্তায় বের হচ্ছেন। অনেকের মুখেই দেখা যায়নি মাস্ক। রাস্তায় ঘোরাঘুরি করছে মানুষ।
সকাল থেকেই শহরে চলছে ইজিবাইক, রিকশাসহ সব ধরনের যানবাহন। পিরোজপুর শহরের বেশিরভাগ দোকানপাটও খোলা রয়েছে।
তবে লকডাউনের প্রথম দিনে শহরে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের অভিযান পরিচালনা করতে দেখা গেছে। বিশেষ করে যারা মাস্কবিহীন চলাফেরা করছেন তাদের ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা করা হচ্ছে।
পিরোজপুর পুলিশ সুপার হায়াতুল ইসলাম খান বলেন, দোকানপাট খোলা রাখার কথা না। তারপরও বিষয়টি দেখছি। আর ইজিবাহক, রিকশা বা অন্যান্য যানবাহন পুরোপুরি বন্ধ করা হয়নি, অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলাচলের কথা রয়েছে।
পিরোজপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বশির আহমেদ বলেন, আমি এলাকায় নেই। তাই এ বিষয় নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাচ্ছি না।
জেলা প্রশাসক আবু আলী মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, জেলায় করোনা পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি ঘটেছে। তবে লকডাউন সফল করতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা মাঠে থেকে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে যাচ্ছেন।
এদিকে, পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে করোনা ওয়ার্ডে ২১ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় শতাধিক নমুনা পরীক্ষায় ৪০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। জেলায় করোনা সংক্রমণের হার ৩৭ শতাংশ।