৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বরগুনায় ভারী বর্ষণে জনজীবন বিপর্যস্ত

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

বরগুনা প্রতিনিধি :: তিনদিনের ভারী বর্ষণে বরগুনাসহ গোটা উপকূলীয় এলাকায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে উপকূলীয় নদী তীরবর্তী এলাকাসমূহে বর্ষণের বানে বাড়ি-ঘর ফসলি জমি ও মাছের ঘের পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। একনাগাড়ে বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত বরগুনা জেলা শহর থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত এলাকা। বিস্তীর্ণ এলাকায় পানি জমেছে জলমগ্ন জেলার বহু অংশ। টানা বৃষ্টিতে ফুঁসছে বরগুনার পায়রা, বলেশ্বর ও বিষখালী নদী। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানাচ্ছে নিম্নচাপ অক্ষরেখার জন্য ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে জনদূর্ভোগে চলাচল ভোগান্তির সৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়া বরগুনা শহরের বেড়ীবাঁধের বাহিরে অবস্থিত বস্তী, আবাসন, আশ্রয়নের পানি নিষ্কাসনের ব্যবস্থা না থাকায় বসত ঘরেও জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।

গত বুধবার দিবাগত মধ্যরাত থেকে বর্ষণ শুরু হয়ে এখনো পর্যন্ত ভারীবর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। কয়েকদিনের লাগাতার বৃষ্টিতে মাঠে-ঘাটে থইথই জল। পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল আকার ধারণ করছে। বৃষ্টিতে প্রাণ ওষ্ঠাগত শ্রমজীবী মানুষদের। বিশেষ করে বরগুনার আবাসনের কয়েক হাজার বাসিন্দা চরম দূর্ভোগে পড়েছে। এছাড়াও পায়রা-বলেশ্বর ও বিষখালি বরগুনার উপর দিয়ে প্রবাহিত তিনটি নদীরই পানি ফুঁসেছে।

বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নিম্নচাপ ও ভারি বর্ষণের ফলে নদীর পানি তিনফুট পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। যার ফলে উপকূলের নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। বরগুনা পাউবোর পানি পরিমাপক মাহতাব হোসেন জানান, সবশেষ জোয়ারে বরগুনার তিনটি নদীর পানিই স্বাভাবিকের চেয়ে তিনফুট বেড়েছে। বরগুনায় ২৬০ মিলিলিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

জেলা কৃষি বিভাগ সূত্র জানিয়েছে, আমনের মৌসুমে ধানে শীষ ধরেছে। এমন ভারি বর্ষণে জেলার কয়েক লাখ হেক্টর আবাদি আমনের ফলন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এছাড়াও শীতের আগাম সবজি চাষও চরম ক্ষতির মুখে পড়েছে। তবে শনিবারের আগে তারা পরিসংখ্যান জানাতে পারবেননা। দক্ষিণবঙ্গ হয়ে বঙ্গোপসাগরের দিকে অবস্থান করছে নিম্নচাপ।

আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস, এর জেরে আরো দুইদিন ভারী বৃষ্টিপাত চলবে। ফলে এখনই দুর্যোগ থেকে মুক্তির সম্ভাবনা নেই।

সর্বশেষ