৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বরিশালের ২০ কলেজে কেউ ভর্তি হয়নি, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে শিক্ষা বোর্ড

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

বাণী ডেস্ক।।
বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের অধীনে সরকারী-বেসরকারী মিলিয়ে মোট ৩৪৭টি কলেজ রয়েছে। এরমধ্যে উচ্চ মাধ্যমিকে বরিশাল বিভাগের ২০টি কলেজে কোন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়নি। কলেজগুলোতে একজন শিক্ষার্থীও না পাওয়ায় আসনগুলো শুন্য রয়েছে। তবে এসব কলেজে কোনো শিক্ষার্থী কেন ভর্তির আবেদন করেনি এবং শিক্ষার মান খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন বরিশাল শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নগরীর জগদীশ সারস্বত গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রতিষ্ঠার এক যুগ কাটলেও শিক্ষার্থীতো দূরের কথা, কলেজ শাখায় নেই কোনো শিক্ষক। এখানে কলেজ শাখার শিক্ষার্থীদের ক্লাস করার কথা থাকলেও চলছে স্কুলের শিক্ষার্থীদের পাঠদান। এছাড়া নগরীর আরিফুর রহমান কমার্স কলেজে এবছর এইচএসসিতে পড়তে কেউ ভর্তির আবেদনই করেননি।

একই অবস্থা বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের আওতাধীন হালিমা খাতুন গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ, শহীদ জিয়া আইডিয়াল কলেজসহ ২০টি কলেজের। শিক্ষার্থীরাজানিয়েছেন, অতিরিক্ত অর্থ আদায়, শিক্ষক সংকটসহ পড়ালেখার মান নিয়ে প্রশ্ন থাকায় তারা এসব কলেজে পড়তে চান না।

জগদীশ সারস্বত মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধানশিক্ষক বিজয় কৃষ্ণ ঘোষ বলেন, আমি দায়িত্ব গ্রহণ করার পর থেকে কলেজ শাখায় কোনো ছাত্রী পাইনি। এখানে কোনো শিক্ষকও নেই। এছাড়া কলেজে ভর্তির জন্য কোনো শিক্ষার্থীও আবেদন করেননি।

বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মোহাম্মদ ইউনুস বলেন, শিক্ষা বোর্ডের আওতায় ১২টি কলেজে কোনো শিক্ষার্থী ভর্তি হওয়ার জন্য আবেদন করেনি। এর পেছনের কারণগুলো হচ্ছে এ কলেজগুলো চলছে না, বা কর্তৃপক্ষ চালাতে ইচ্ছুক নন। এছাড়া এ কলেজগুলোতে শিক্ষার্থীদেরও ভর্তির আগ্রহ নেই। এমন অনেক কলেজ আছে সেগুলো না চালানোর জন্য আবেদন জমা দিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।

তিনি আরও বলেন, অন্য আটটি প্রতিষ্ঠানে কিছু শিক্ষার্থী অনলাইনে ভর্তির আগ্রহ দেখিয়েছে। এখন বুয়েট থেকে ওই শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন করার জন্য গত ১০ মে পর্যন্ত একটা প্রাথমিক গ্রেড দেয়া হয়েছিল। পরে তার

মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। ওই আটটি প্রতিষ্ঠান বুয়েটের সার্ভারে ভর্তির রেজিস্ট্রেশন নিশ্চয়ন করেনি। তারপরেও কলেজ পরিদর্শক ওই আট কলেজের সাথে যোগাযোগ করে তাদের শিক্ষার্থীর সংখ্যা ও প্রতিষ্ঠানের মেইল নম্বর বুয়েটের সার্ভারে পাঠিয়েছে।

সর্বশেষ