৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বাবুগঞ্জে জমে উঠেছে জেলা পরিষদের সদস্য পদে নির্বাচন

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

বাবুগঞ্জ প্রতিনিধিঃ নিবিড় পরিচর্যা প্রতিশ্রুতি আর ভালোবাসার বন্ধনে কদর বেড়েছে জনপ্রতিনিধিদের এই মহামূল্যবান ৮১ টি ভোটের। সেই লক্ষে লবিং, তদবির, এবং দলবল নিয়ে স্বশরীরে জনপ্রতিনিধিদের দ্বারে দ্বারে ভোট প্রার্থনা করছেন প্রার্থীরা।

বরিশাল জেলা পরিষদ নির্বাচনে ৩ নং বাবুগঞ্জ উপজেলার সদস্য পদে হাতি প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন বাবুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন আকন এবং তালা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন বাবুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মোঃ মাইনুল হোসেন পারভেজ।

দক্ষিণ বাংলার আওয়ামী রাজনৈতিক অভিভাবক, পার্বত্য শান্তি চুক্তির রুপকার (মাননীয় মন্ত্রী) আবুল হাসনাত আবদুল্লাহর স্নেহধন্য ও আশীর্বাদপুষ্ট মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন আকন বাবুগঞ্জ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী সরকারি আবুল কালাম কলজের ছাত্র লীগের রাজনীতিতে রনাঙ্গানে থেকে নেত্বত দিয়েছেন সেই সাথে বাবুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক অঙ্গনে নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছেন। চেষ্টা করেছেন আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত রাখতে।

অপরদিকে মোঃ মাইনুল হোসেন পারভেজ ছাত্র লীগের রাজনীতির পাশাপাশি যুবলীগের নেত্বত দিয়েছেন পালন করেছেন রহমতপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতির দায়িত্ব। গত জেলা পরিষদ নির্বাচনে মাননীয় মন্ত্রী আবুল হাসনাত আবদুল্লাহর নির্দেশ উপেক্ষা করে এবং দলের সিদ্ধান্তের বাহিরে স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন পারভেজ। জেলা পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হলেও দলের হাইকমান্ডের সু নজরে ছিলেন না তিনি।

এবারের জেলা পরিষদ সদস্য পদে বাবুগঞ্জ -৩ নির্বাচনে আগামী ১৭ তারিখের ভোটে ভিন্ন হিসেব কষতে শুরু করেছেন সম্মানিত ভোটাররা। সম্মানিত ভোটারদের অভিযোগ বাবুগঞ্জ উপজেলার ৬ টি ইউনিয়নে কোথাও দৃশ্যমান কোন উন্নয়নের আচর পড়েনি। আর দৃশ্যমান উন্নয়ন না হওয়ায় অনেকটাই কোন ঠাসা অবস্থানে পড়ে আছেন তালা প্রতীকের প্রার্থী মাইনুল হোসেন পারভেজ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ইউ পি সদস্য জানান, জেলা পরিষদ সদস্য পদে পারভেজ মৃধা নির্বাচিত হয়ে তিনি নিজের আখের গুছিয়েছেন, কোথায় কোন উন্নয়ন মূলক কাজ করেননি। তারা আরও বলেন, দৃশ্যমান উন্নয়ন ও কাজ করেছেন, সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য ও বর্তমান সফল উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ফারাজানা বিনতে ওহাব। তার কাজগুলো আজও দৃশ্যমান। তার আমলেই যেটুকু কাজ হয়েছে। এছাড়া উপজেলার কোথাও কোন কাজ করেননি পারভেজ মৃধা।

এই ক্ষেত্রে গ্রামের সেই চিরচেনা প্রবাদটি “সর্বশেষ হাতির খেলা” সফল হতে পারে জাহাঙ্গীর আকনের ক্ষেত্রে বলে ধারণা অনেক সম্মানিত ভোটারদের। সম্মানিত ভোটাররা আগামী ১৭ তারিখে জেলা পরিষদ সদস্য পদে বাবুগঞ্জ ৩ -এ পরিবর্তন চান। দৃশ্যমান কাজ চান।

সর্বশেষ