নিজস্ব প্রতিবেদক :
বাবুগঞ্জে ত্রাণের নাম করে নগদ অর্থ লুটে নিল একটি চক্র। সূত্রে জানাযায় ১জুন (সোমবার) বাবুগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুদ করিম লাভলু ইউনিয়ন যুবলীগ নেতৃবৃন্দের কাছে ত্রাণ সহযোগীতা পাওয়ার জন্য একটি মোবাইল নাম্বার দেন। উক্ত নাম্বারে যোগাযোগ করে ইউনিয়ন যুবলীগ নেতৃবৃন্দ জানতে পারেন প্রতি ইউনিয়নে ৫জনকে ত্রাণ দিবে রেডক্রিসেন্ট। এলাকায় দরিদ্র শ্রেণির লোক বেশী হওয়ায় যুবলীগ নেতারা জনৈক ব্যক্তির সাথে বেশী ত্রাণের দাবী জানালে তিনি বলেন, ‘প্রতি ত্রাণ গ্রহণ কারী বিপরীতে ১হাজার ৫শত টাকা তাকে দিতে হবে।‘
রেডক্রিসেন্টের সদস্য পরিচয়দানকারী ব্যক্তির কথায় রাজী হয়ে চাঁদপাশা ইউনিয়ন যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাঝি ৪২ নামের বিপরীতে ৬০হাজার টাকা বিকাশের মাধ্যমে দেন। একই ভাবে কেদারপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি বাদল বিশ্বাস ২০ হাজার টাকা দেন। তাছাড়া আরো ২/৩ ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে জনৈক ব্যক্তি। যদিও লজ্জায় প্রকাশ্যে স্বিকার করছেনা তারা।
দেহেরগতি ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা রছি প্রথমে ত্রাণ বিতরণের নামে জনৈক ব্যক্তি টাকা চাচ্ছে এমন বিষয়টি উপজেলা যুবলীগ সাধারণ সম্পাদককে জানালে ঘটনাটি জানাজানি হয়। মুহুর্তেই রেডক্রিসেন্টের সদস্য পরিচয় দেয়া জনৈক ব্যক্তির ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বার বন্ধ হয়ে যায়।
এব্যাপারে বাবুগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুদ করিম লাভলু বলেন, ‘এদায়ভার উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ’লীগের সভাপতি কাজী এমদাদুল হক দুলাল’র। তার নির্দেশে তার দেয়া মোবাইল নাম্বার আমি ইউনিয়ন যুবলীগ নেতৃবৃন্দের কাছে দেই। এবং সকলকে ঐ নাম্বারে যোগাযোগ করে ত্রাণ পেতে পারে এমন ৫জনার নাম দিতে বলি। সেখানে কেউ আমার সাথে যোগাযোগ না করে অতিরিক্ত নামের তালিকা প্রদান ও তার বিপরীতে টাকা দিয়ে থাকলে ‘অতি লোভে তাতি নষ্ট হওয়ার ঘটনা ঘটিয়েছে’। আমি যুবলীগ নেতা রছির মাধ্যমে টাকার কথা জানতে পেরে কোন প্রকার লেনদেন না করার কথা বলি। তাৎক্ষনিক অন্যান্ন ইউনিয়ন নেতাদের সাথে যোগাযোগ করলে জানতে পারি অনেকেই উপজেলা চেয়ারম্যানের দেয়া নাম্বারে যোগাযোগ করে বিকাশের মাধ্যমে টাকা দিয়ে দিয়েছে। আমি প্রথমেই উপজেলা চেয়ারম্যানকে বলেছিলাম আপনি যাচাই বাচাই করে রেডক্রিসেন্টে নামের তালিকা দেন। তিনি কেন যে আমাকে এমন একটা কাজে জড়ালেন আমি জানিনা।’
এ প্রসঙ্গে বাবুগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান ও থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী এমদাদুল হক দুলাল বলেন, ‘প্রথমে ০১৩০৯-৭৩১৪৫৩ নম্বর থেকে এক লোক ফোন করে নিজেকে রেড ক্রিসেন্টের জেলা প্রতিনিধি পরিচয় দিয়ে আমাদের উপজেলায় কিছু লোককে ত্রাণ দেয়ার কথা বলেন। এজন্য প্রতি ইউনিয়ন থেকে পাঁচজন করে ব্যক্তির তালিকা চান তারা। পরে সে অপর এক ব্যক্তির সাথে কথা বলিয়ে দেন।
যিনি নিজেকে রেড ক্রিসেন্টের পরিচালক বলে পরিচয় দেয়। সে তার ০১৭৫২-৮১৯৮২১ নম্বর থেকে আমাকে ফোন করে ত্রাণের বিষয়ে কথা বলে। অত্যন্ত মার্জিত ভাষায় কথা বলা ব্যক্তিও আমার কাছে ত্রাণ দিবে বলে তালিকা চান। কিন্তু আমি ঢাকায় থাকায় এ বিষয়ে তাদের কোন সহযোগিতা করতে পারবো না বলে জানাই। তখন ওই ব্যক্তি তার নম্বর উপজেলা যুবলীগ বা ছাত্রলীগের কাউকে দিয়ে যোগাযোগ করার জন্য বলেন। ওই ব্যক্তি কথা মতো আমি যুবলীগকে নম্বর দিয়ে তাদের সাথে যোগাযোগ করতে বলি। যারা প্রতারিত হয়েছে তদেরকে থানায় সাধারণ ডায়েরীর পাশাপাশি র্যাবের সহযোগিতা নেয়ার পরামর্শ দিয়েছি।’