২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বিপদ কখনো একা আসে না : প্রধানমন্ত্রী

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

করোনাভাইরাসের প্রকোপের মধ্যে ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের আঘাতের বিষয়টি তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কথায় আছে ‘বিপদ কখনো একা আসে না’। করোনাভাইরাসের এই মহামারির মধ্যে গত বুধবার রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল এবং চট্টগাম বিভাগসহ উপকূলীয় জেলাগুলোতে প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’ আঘাত হেনেছে। তবে আল্লাহর অশেষ রহমত এবং আমাদের আগাম প্রস্তুতির কারণে জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো সম্ভব হয়েছে।

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে রোববার (২৪ মে) সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

সরকারপ্রধান বলেন, এ বছর এক ভিন্ন প্রেক্ষাপটে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে। করোনাভাইরাস নামক এক প্রাণঘাতী ভাইরাস সারাবিশ্বে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। তার ওপর ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের তাণ্ডবে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বেশ কয়েকটি জেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে যাতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি না হয়, সেজন্য বিভিন্ন দ্বীপ, চরাঞ্চল এবং সমুদ্র-উপকূলে বসবাসকারী ২৪ লাখেরও বেশি মানুষকে এবং প্রায় ছয় লাখ গবাদিপশু আমরা ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করি।

তিনি বলেন, সর্বাত্মক প্রস্তুতি সত্ত্বেও গাছ ও দেয়াল চাপায় বেশ কয়েকজন মানুষ মারা গেছেন এবং বহু ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। আমি তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করছি। ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে আমরা ইতোমধ্যে ত্রাণ-সামগ্রী বিতরণ শুরু করেছি এবং ঘরবাড়ি মেরামতের কাজ শুরু হয়েছে।

‘ইতঃপূর্বে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীর উদ্বোধন অনুষ্ঠান, স্বাধীনতা দিবস এবং বাংলা নববর্ষের অনুষ্ঠানও জনসমাগম এড়িয়ে রেডিও, টেলিভিশন এবং ডিজিটাল মাধ্যমে উদযাপন করা হয়েছে। সবাইকে আমি ঘরে বসেই পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ উপভোগ করার অনুরোধ জানাচ্ছি। সেই সঙ্গে সামর্থ্যবানদের প্রতি আহ্বান জানাই, এই দুঃসময়ে আপনি আপনার দরিদ্র প্রতিবেশী, গ্রামবাসী বা এলাকাবাসীর কথা ভুলে যাবেন না। আপনার যেটুকু সামর্থ্য আছে তাই নিয়ে তাদের পাশে দাঁড়ান। তাহলেই ঈদের আনন্দে পরিপূর্ণ হয়ে উঠবে আপনার ঘর এবং হৃদয়-মন’— বলেন প্রধানমন্ত্রী।

সর্বশেষ