৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বিয়েবিচ্ছেদেই ডা. সুলতানার আত্মহত্যা!

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

বিয়েবিচ্ছেদের হতাশা থেকেই কি শেষ পর্যন্ত আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন ডা. সুলতানা পারভীন? জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এই মেডিক্যাল অফিসারের মরদেহ রবিবার সন্ধ্যায় উদ্ধার করা হয়। কমপ্লেক্সের আবাসিক ভবনে নিজ কক্ষ থেকে মরদেহের সঙ্গে একটি চিরকুটও উদ্ধার করে পুলিশ। সাবেক স্বামীকে উদ্দেশ করে লেখা ওই চিরকুটই এমন প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।

এদিকে সোমবার ময়নাতদন্ত শেষে ডা. সুলতানা পারভীনের মরদেহ স্বজনরা গ্রামের বাড়ি রাজশাহীতে নিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে মেলান্দহ থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মরদেহ উদ্ধারের সময় ডা. সুলতানার কক্ষে যে চিরকুটটি পাওয়া গেছে সেটি সাব্বির নামের এক ব্যক্তিকে লেখা। বুয়েটের প্রাক্তন শিক্ষার্থী সাব্বিরের বাড়ি খুলনায়। পারিবারিকভাবে বিয়ে হলেও বছর চারেক আগে সাব্বির-সুলতানা দম্পতির বিচ্ছেদ ঘটে। ডা. সুলতানা পারভীন হয়তো এ নিয়ে হতাশায় ভুগছিলেন। ডা. সুলতানার গ্রামের বাড়ি রাজশাহী জেলা সদরের পোস্ট অফিস গলি এলাকায়। তিনি স্থানীয় অবসরপ্রাপ্ত রেলওয়ে কর্মকর্তা আলাউদ্দিন আজাদের মেয়ে।

মেলান্দহ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. ফজলুল হক জানান, ডা. সুলতানা পারভীন এখানে কর্মরত অবস্থায় কর্তব্যকাজে অবহেলা বা তাঁর মধ্যে কোনো হতাশার ছাপ লক্ষ করা যায়নি। রবিবার সকালে হাসপাতালের বহির্বিভাগে তাঁর রোগী দেখার কথা ছিল; কিন্তু হাসপাতালের চেম্বারে না আসায় দুপুরের দিকে রোগীরা ফিরে যায়। তাঁকে ফোন করা হলে রিং হলেও রিসিভ করছিলেন না। হাসপাতালের অন্যান্য ডাক্তার ও কর্মচারীকে নিয়ে তিনি বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তাঁর বাসায় গিয়ে ভেতর থেকে দরজা বন্ধ পান। একপর্যায়ে মেলান্দহ থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ভেতরে গিয়ে ডা. সুলতানা পারভীনকে মৃত অবস্থায় দেখতে পায়।

মেলান্দহ থানার ওসি রেজাউল ইসলাম খান জানান, ডা. সুলতানার কক্ষে পাওয়া নোটবুক ও দুটি চিঠি থেকে সাব্বির নামের ব্যক্তি সম্পর্কে জানা যায়। স্বজনদের কাছ থেকে জানা গেছে, সাব্বিরের বাড়ি খুলনা জেলায়। পারিবারিকভাবে বিয়ে হলেও চার বছর আগে সাব্বিরের সঙ্গে ডা. সুলতানার বিচ্ছেদ ঘটে। পরে সাব্বিরের দ্বিতীয় বিয়ে করার বিষয়টি জানতে পেরে সুলতানা পারভীন মানসিকভাবে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন।

সর্বশেষ