৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ভোলায় আদালতের গাড়ী চালক আলাউদ্দিনের বিরুদ্ধে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে হয়রানি ও প্রতারণার অভিযোগ

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

নিজস্ব প্রতিবেদক।

ভোলায় ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন, হয়রানি ও প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে জেলা জজ কোর্টের ড্রাইভার আলাউদ্দিন এর বিরুদ্ধে।

শহরের একটি পত্রিকা অফিসে সংবাদ সম্মেলন এর মাধ্যমে ভোলা সদর উপজেলার পূর্ব ইলিশা ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের সোনাডগী গ্রামের আলহাজ্ব আবুল কাশেম ওরফে কুট্টি মিয়ার ছেলে মোঃ ফিরোজ ভুলাই এ অভিযোগ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে ফিরোজ ভুলাই লিখিত অভিযোগে বলেন, আমি জংশন বাজারের একজন ব্যবসায়ী। আমার প্রতিবেশী নুরুল ইসলাম ওরফে মোতাহার পালোয়ান এর কাছ থেকে ২০১৫ সালে ১০ শতাংশ জমি ক্রয় করে তিন তলার একটি বাড়ি নির্মাণের কাজ শুরু করি ইতোমধ্যে যার দুই তলা পর্যন্ত নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। সেসময় উক্ত জমির নামজারি না থাকায় ক্রয়কৃত জমির দলিল সম্পাদন করা সম্ভব হয়নি। তবে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সোহরাওয়ার্দী মাস্টার, ভোলা পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মঞ্জুরুল আলম, সাবেক ইউপি সদস্য ইকবাল হাওলাদার, বশির আহমেদ ও কাঞ্চন ভুলাইসহ আরও বেশ কয়েকজন স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের মধ্যস্থতায় টাকা লেনদেন হয়। তাৎক্ষণিক আমাকে জমি বুঝিয়ে দেওয়া হয় এবং উক্ত জমিতে আমি তিন তলা ফাউন্ডেশন নিয়ে ঘর উত্তোলন করে বসবাস করতে থাকি। তখন থেকেই আমি তাদেরকে জমির দলিল দিতে বললে গড়িমসি করতে থাকে। পরবর্তীতে নুরুল ইসলাম এর ছেলে আলাউদ্দিন ভোলা জজকোর্টে ড্রাইভার পদে নিয়োগ নিয়ে তালবাহানা শুরু করে। একপর্যায়ে বিষয়টি সমাধানের জন্য আমি মধ্যস্থতাকারীদের সাথে নিয়ে স্থানীয় পর্যায়ে শালিশ বৈঠকের আয়োজন করি। কিন্তু কোনো শালিশেই নুরুল ইসলাম কিংবা তার ছেলে আলাউদ্দিন উপস্থিত হয় না। এলেও নানান ছলছুতায় পাশ কাটিয়ে যায়।

তদুপরি নুরুল ইসলাম এর ছেলে জজকোর্টের ড্রাইভার আলাউদ্দিনের কর্মকান্ডের বর্ণনা দিয়ে জেলা জজ মহোদয় এর নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। এরপর আলাউদ্দিন জজকোর্টের ক্ষমতা দেখিয়ে আমার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করে। মামলা করেও সে খেন্ত হয়নি বরং বিভিন্নভাবে আমাকে এবং আমার সন্তানদেরকে হুমকি ধামকি দিতে থাকে। সবশেষ গত ১৬ জানুয়ারি রাত ১০ টায় দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরার পথে নুরুল ইসলাম, আলাউদ্দিন, শাজাহান, শামসুদ্দিনসহ আরও ৭/৮ জন আমার গতিরোধ করে। এসময় তারা অতর্কিতভাবে আমাকে মারধর এবং আমার কাছে থাকা নগদ ২ লক্ষ টাকা ছিনিয়ে নেয়। বিষয়টি স্থানীয়দের নিকট নালিশ করলে আলাউদ্দিনের ভয়ে তারা কোনো সুরাহা করতে পারেনি। অবশেষে আমি বাধ্য হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করি। মামলা দেওয়ায় আলাউদ্দিন এখন আমাকে জেল খাটানোর এবং মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। এমতাবস্থায় আমি চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি।

জোজকোর্টের আলাউদ্দিন আমার মতো এলাকার আরও অনেক নিরীহ মানুষের সাথে প্রতারণা ও হয়রানি মূলক কর্মকান্ডে জড়িত রয়েছে। জমি বিক্রির কথা বলে মৃত আবদুল কাদেরের বিধবা স্ত্রীর কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে আরও অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে। এখন আমি আমার সাথে ঘটে যাওয়া এসব প্রতারণা ও হয়রানি মূলক কর্মকান্ডের ব্যপারে ভোলার অভিভাবক মাননীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব তোফায়েল আহমেদ ও প্রশাসনের কাছে সঠিক বিচারের দাবি জানাচ্ছি।
এই বিষয়ে জজকোর্ট এর ড্রাইভার আলাউদ্দিন বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা।

সর্বশেষ