১০ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে তোলপাড় সিনেমার হিরো সনি রহমানের আবেদন।

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

এ আল মামুন, বিনোদন প্রতিবেদকঃ নোভেল করোনা ভাইরাস শুধু আতংকই না, বিশ্ব মাহামারি রূপ ধারন করেছে ইতিমধ্যে। এরই মধ্যে বিশ্বময় ছড়িয়ে পরেছে এই ভাইরাস ব্যাপকহারে। থমকে গিয়েছে বিশ্ব সহ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক চাকা। এই মহামারি করোনার ছোবল থেকে রক্ষা পায়নি বাংলাদেশ চলচ্চিত্রও।

মহামারি করোনা ভাইরাসের প্রকোপে আজ স্তব্ধ বিশ্বের জনজীবন। আক্রান্তের পাশাপাশি বিশ্বে মৃত্যুর হার বেড়েই চলেছে। করোনা মোকাবেলায় দেশে দেশে চলছে লকডাউন। স্বাস্থ্যবিদরা ঘরে থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন। যার কারনে কর্মহীন হয়ে পড়েছে বিভিন্ন পেশার অসংখ্য মানুষ। চলচ্চিত্র কর্মিরাও এর বাহিরে না, শুটিং বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন চলচ্চিত্রকর্মীরাও। বহু আগেথেকেই চলছে চলচ্চিত্রের সংকটকাল। দিন দিন কমে যাচ্ছে সিনেমা হল ও সিনেমার সংখ্যা। যার ফলে এই পেশার সাথে জড়িত মানুষজন দিন দিন বেকার হয়ে যাচ্ছে। বছরে যে কয়টি ছবি নির্মাণ হয়ে আসছিলো সেগুলোতে কাজ করে কোন রকম দিনযাপন করে আসছিলেন এই পেশার সাথে জড়িত মানুষগুলো। কিন্তু দেশের এই দুর্যোগময় করোনার মুহুর্তে বন্ধ হয়ে গেছে সেই ভরসাটুকুও। ফলে গৃহবন্দি হয়ে দিন পার করছেন এ পেশার সাথে জড়িত প্রায় সকল মানুষ। কারোনার কারনে সিনেমার কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়া এবং শুটিং সম্পূর্ণ হওয়া সিনেমার প্রযোজকদের অর্থ গুলো এক জায়গায় আটকে যাওয়ায় নতুন করে কাজে হাত দিতে পারছেন না প্রযোজকেরা। সেই সাথে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে মুক্তির অপেক্ষায় থাকা সিনেমা মুক্তির বিষয়টিও। ছবি মুক্তি দিতে না পারলে বিশাল ক্ষতি হয়ে যাবে প্রযোজকদের। এই সব কিছু বিবেচনা করে প্রযোজক ও অভিনেতা সনি রহমান সরকারের কাছে প্রযোজকদের জন্য প্রণোদনা দাবি করলেন। এ নিয়ে তোলপাড় সিনেমার হিরো সনি রহমান ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন। পাঠকের সুবিধার্থে তা হুবুহু তুলে ধরা হলো-

চলচ্চিত্র শিল্প করোনা পরিস্থিতির কারনে আমার মতন আরও অনেক সিনেমার প্রডিউসারের লক্ষ লক্ষ টাকা বক্ল হয়ে গেছে। কারো কাজ সম্পূর্ণ হওয়া সিনেমা, কারো সিনেমার কাজ শেষ বা মাঝামাঝি অবস্থায় আছে।অনিশ্চিত হয়ে বসে আছি আমরা। সুতরাং সরকার যদি সব খাতে প্রণোদনা দিতে পারে তাহলে আমরা পেতে পারি না কেনো? চলচ্চিত্র নির্মাণে প্রডিউসারকেই টাকা ইনভেস্ট করতে হয়। তাছাড়া আমরা কোনো মন্ত্রণালয়ের অধিনের বা প্রযোজক সমিতির সদস্যের বাইরেও নই। এমনকি সরকারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনে নগদ টাকা জমা দিয়ে পার্টি হয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণ করছি। সিনেমার লাভ লোকশানের চিন্তা না করে সঠিক ভাবে সরকারকে রাজস্ব দিচ্ছি। এমনকি সরকারি একটি টাকা বাকি রেখে সিনেমা রিলিজ দেয়া যায় না। তা পরিশোধ করেই নো ওভজেকশন সার্টিফিকেট নিয়ে সিনেমা রিলিজ দিয়ে থাকেন প্রতিটি সিনেমার প্রযোজকরা। আমরা প্রযোজনা করায় এই অঙ্গনের সকল কলাকুশলী কাজ করে জীবিকা নির্ভর করছে। সুতরাং আমার দৃষ্টিতে প্রযোজক বাঁচলে চলচ্চিত্র বাঁচবে। আর চলচ্চিত্র বাঁচলে শিল্পী থেকে শুরু করে ক্যামেরা পিছনে অর্থাৎ হাজারো মানুষ বাঁচবে। চলচ্চিত্র শিল্প বাঁচাতে আমি সরকারি প্রণোদনা ক্ষেত্রে বর্তমানে যেই সকল রানিং প্রযোজকদের কাজ শেষ মুক্তির অপেক্ষা বা কাজ রানিং আছে তাদের প্রতি সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করছি। দৃষ্টি কামনা করছি তথ্য মন্ত্রণালয় ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের।

উল্লেখ্য হিরো সনি রহমান অভিনীত “তোলপাড়” নামে সিনেমাটি এখন মুক্তির মিছিলে। আশা করি, দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে খুব শিগ্রই দর্শক সিনেমাটি প্রেক্ষাগৃহে দেখতে পাবেন।

সর্বশেষ