মামুন-অর-রশিদ: কোন সমস্যা, ঝামেলা কিংবা বিপদ এলে প্রথমেই মোবাইলে যার নাম সার্চ করে কলটি দিতাম তার নাম মাসুদ রান। সমস্যা বলতে দেরী- ওপার থেকে সাড়া দিতে যেন আর দেরী নেই। মনেহয় যেন সে প্রস্তুত ছিল। নিজের যে কোন পরিস্থিতিকে অগ্রাহ্য করে অন্যের সমস্যা সমাধানে ঝাঁপিয়ে পড়া এই ব্যক্তি গত বছর এই দিনে (১৭ জানুয়ারী) জীবন দিলেন কারও উপকার করতে গিয়েই। শেষ সময়েও তিনি প্রমান করে গেলে কবি কামিনী রায়ের সেই কথা-
“ আপনারে লয়ে বিব্রত রহিতে
আসে নাই কেহ অবনী ‘পরে,
সকলের তরে সকলে আমরা
প্রত্যেকে মোরা পরের তরে ”
বরিশাল বাণী’র প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই তিনি ছিলেন উপ সম্পাদক। এ পরিবারের সবাই তাকে অনেক আপন জানেন। মৃত্যুর পর বছর পেরিয়ে গেলেও আজও প্রতিটি মুহুর্ত আমাদের অনুভবে রয়েছে মাসুদ রানা। নিজ বাড়ি আগৈলঝাড়া উপজেলার রাজিহার ইউনিয়নের বাশাইল গ্রামে। বরিশাল শহরে ব্যবসা ও সাংবাদিকতার সুবাদে অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন তিনি। পূর্ব থেকে সাংবাদিকতায় যুক্ত থাকলেও ২০১৬ সাল থেকে সাংবাদিকতায় গভীর ভাবে প্রবেশ করেন আমার হাত ধরেই। সেই থেকে আমার প্রধান সহযোগী ছিলেন তিনি। এখনো মাঝে মাঝে তার ডাক শুনতে পাই। ভুলতে পারছিনা, ভুলতে চাইও না।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ১৭ জানুয়ারী সোমবার রাত সাড়ে ৪টার দিকে পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানা সংলগ্ন জাজিরা প্রান্তে সোনালী ব্যাংক মোড়ে এলপি গ্যাসবোঝাই ট্রাক ও অ্যাম্বুলেন্সের সংঘর্ষে ছয়জন ঘটনাস্থলেই নিহত হন। বান্ধবী লিমার অসুস্থ মাকে নিয়ে সেই এ্যাম্বুলেন্সে ঢাকা যাচ্ছিলেন মাসুদ রানা। এম্বুলেন্স চালক সহ সকলেই ঘটনাস্থলে মৃত্যুবরণ করেন।
মহান আল্লাহ মাসুদ রানাকে ক্ষমা করে দিয়ে জান্নাতের সুমহান মর্যাদা দান করুন, আমিন।