নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে গৃহবধূ ওমেনা খাতুনকে (২০) পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়িকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার ভোররাত ৪টার দিকে উপজেলার রণচণ্ডী ইউনিয়নের সোনাখুলি ডাঙ্গাপাড়া গ্রাম থেকে গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য দুপুরে জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন ওই গৃহবধূর স্বামী আল আমীন (২৬), শ্বশুর জহুরুল মিয়া (৬০) এবং শাশুড়ি অসনা বেগম (৫৮)। তাঁদের আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান কিশোরগঞ্জ থানার ওসি মো. আব্দুল আউয়াল।
নিহত ওমেনা খাতুনের বাবা আয়নাল হোসেন অভিযোগ করে বলেন, রাত ১১টার দিকে এলাকাবাসীর কাছ থেকে মেয়ের মৃত্যুর খবর পাই। এসে জামাই আল আমীন ও তার মা অসনা বেগমকে বাড়িতে না পেয়ে আমার সন্দেহ হলে পুলিশে খবর দিই। পরে পুলিশ এসে মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। তিনি বলেন, বিয়ের সময় যৌতুকের দাবির ২০ হাজার টাকা পরিশোধ করি। পরবর্তী সময়ে আরো ৫০ হাজার টাকার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। টাকা না পেয়ে বিভিন্ন সময় স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়ি মিলে আমার মেয়ের ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাতে থাকে। বুধবারও তারা আমার মেয়েকে পিটিয়ে হত্যার পর মরদেহ ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যার খবর প্রচার করে। আমি আমার মেয়ে হত্যার বিচার চাই।
এলাকাবাসী জানায়, ১৬ মাস আগে ইউনিয়নের সোনাখুলি ডাঙ্গপাড়া গ্রামের আয়নাল হোসেনের মেয়ে ওমেনা খাতুনের সঙ্গে একই গ্রামের জহুরুল মিয়ার ছেলে আল আমীনের বিয়ে হয়। ২৬ দিন আগে তাদের এক ছেলেসন্তানের জন্ম হয়। বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ওমেনার মৃত্যুর খবর পাওয়া গেলে বৃহস্পতিবার ভোরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
কিশোরগঞ্জ থানার ওসি মো. আব্দুল আউয়াল জানান, গৃহবধূ ওমেনা খাতুনের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় ওই গৃহবধূর বাবা আয়নাল হোসেন বাদী হয়ে আত্মহত্যার প্ররোচনার একটি মামলা দায়ের করায় গৃহবধূর স্বামী, শ্বশুর এবং শাশুড়িকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।