৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শেবাচিমের পাইপে নবজাতক পাওয়ার ঘটনায় তদন্ত কমিটি

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

বাণী ডেস্ক।।
বরিশাল শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালের শৌচাগারের পাইপ ভেঙে নবজাতক উদ্ধারের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। শিশু বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. এম.আর তালুকদর মুজিবকে প্রধান করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয় সোমবার বিকালে। মঙ্গলবার তদন্ত কমিটি তাদের কাজ করেছেন বলে জানিয়েছেন কমিটির প্রধান অধ্যাপক ডা. এম.আর তালুকদার মুজিব।

শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচ.এম সাইফুল ইসলাম বলেছেন, তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত কমিটিকে সরেজমিনে তদন্তপূর্বক বিস্তারিত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

শেবাচিম হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, তদন্ত কমিটির অপর দুই সদস্যরা হলেন- হাসপাতালের উপ পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম ও সহকারী পরিচালক এসএম মনিরুজ্জামান।

তদন্ত কমিটির প্রধান অধ্যাপক ডা. এম.আর তালুকদার মুজিব মঙ্গলবার দুপুরে বলেন, আমরা তদন্ত কাজ শুরু করেছি। নাবজাতকের বাবা নেয়ামত উল্লাহ ও মা শিল্পী বেগমের বক্তব্য গ্রহণ করা হয়েছে। শনিবার বিকেলে যা ঘটেছিল এবং পরবর্তীতে নবজাতক উদ্ধারের যাবতীয় ঘটনা জানতে চাওয়া হয়েছে তদন্ত কমিটির কাছে।

অধ্যাপক ডা. তালুকদার মুজিব আরও বলেন, নবজাতক ও তার মা দুজনেই সুস্থ্য আছে। আজ থেকে নবজাতকের পাশেই থাকতে পারছেন মা। শিশুটির অক্সিজেন স্যাচুরেশন ৯৭। তার খাওয়ার আকাঙ্ক্ষা এবং শরীরের স্বাভাবিক নড়াচড়া ঠিক আছে। আশা করছি ২-১ দিনের মধ্যে মা ও নবজাতককে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া সম্ভব হবে।

শনিবার বিকেলে প্রসব বেদনা নিয়ে শেবাচিম হাসপাতালের প্রসুতি বিভাগের শৌচাগারে যান পিরোজপুর জেলার স্বরূপকাঠী উপজেলার শেখপাড়া গ্রামের বাসিন্দা জেলে নেয়ামত উল্লাহর স্ত্রী শিল্পী বেগম। ওই সময়ে শৌচাগারেই শিল্পী বেগমের বাচ্চা প্রসব হয়। পরে টয়লেটের মধ্যে ঢুকে যায় নবজাতক শিশুটি। এরপর প্রায় দেড়ঘণ্টার চেষ্টায় শিশুটির বাবা নেয়ামত উল্লাহ দুই তলার শিশু ওয়ার্ডের শৌচাগারের পাইপ ভেঙে নবজাতক মেয়ে শিশুটিকে জীবিত উদ্ধার করেন।

সর্বশেষ