১লা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বরিশাল পাসপোর্ট অফিস নিয়ে বোমা ফাটালেন শিক্ষক নেতা

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

পাসপোর্ট করন:বরিশাল স্টাইল।
******************************
বরিশাল পাসপোর্টের বিভাগীয় অফিস থেকে আমার বাড়ি কাছাকাছি।অফিস হয়েছে কয়েক বছর আগে।আমরাই বরং আদি বাসিন্দা।সে দিন পাসপোর্ট নবায়ন করতে অফিসে গেলাম।কিন্তু কারো সাথে কথা বলেই তৃপ্তি /পাত্তা পাওয়া যায়না।নিরুপায় হয়ে সামনের একটি কম্পিউটারের দোকানে গেলাম।ওরাই এজেন্ট,ওরাই দালাল।এগুলো ওপেন সিক্রেট।সবাই জানে,-জানেনা শুধু যাঁদের জানা দরকার।
পুরাতন পাসপোর্ট দেখে “গোপন খরচ” চাইল পাঁচ হাজার টাকা।ফেরৎ এলাম। আরো দু’দিন উঁকি-ঝুকি দিলাম। কাজ হলনা। নিরুপায় হয়ে ওদের প্রস্তাব কবুল করলাম।
এরই মধ‍্যে কম্পিউটার দোকানে ভাব জমিয়ে ফেললাম।জানলাম ওদের গােপন কিছু কথা—1)প্রতিটি দালাল/কম্পিউটার দোকানের জন‍্যই একটি করে গোপন সাংকেতিক নম্বর দেয়া আছে।কাগজ প্রিন্ট করে পাঠালে অটো সাংকেতিক নম্বরটা অফিসে চলে যায়। এটা দেখেই অফিস বুঝে নেয় ওটা ওদেরই লোক। এ কারনে অফিস কোন ঝামেলা করেনা।এমন কি কোন প্রশ্ন ই করেনা।দালালরা কোন ভুল করলে হয় অফিস সেটা সংশোধন করে।অথবা দালালকে ডেকে এনে সংশোধন করিয়ে নেয় কিন্তু পাবলিক নিজ হাতে কাজ করে কাগজ জমা দিলে অফিসে এ ভুল,সে ভুল-নানান ভুলের ফিরিস্তি তুলে ধরে।বার বার ভুল সংশোধনের দৌড়ে থাকতে থাকতে পাবলিকর প‍্যান্ট খুলে পরার উপক্রম হয়।। নিরুপায় হয়েই পাবলিক ঝামেলায় না জড়িয়ে দালালের কাছে ধরনা দেয়।পাবলিকের ভুল ধরাধরির কশরৎ সবই অফিসের ইচ্ছাকৃত।যাতে পাবলিক অবশ‍্যই দালালের মাধ‍্যমে কাজটি করে।আমার মনে হয়েছে অফিসের সামনের সবগুলো কম্পিউটার দোকানই অফিসের এজেন্ট। এ ছাড়া, কিছু পাবলিকও গোপনে এজেন্ট হিসাবে কাজ করে। সরষের মধ‍্যেই ভুত। কেউ সেটা তাড়াতে চায়না।ওর মধ‍্যে সকলেরই মজা আছে।লম্ফ-ঝম্ফ শুধুই আই ওয়াশ।
শেষ পর্যন্ত স্বল্প সময়ে ঝামেলা মুক্ত ভাবে রি-নিউ পাসপোর্ট হাতে পেলাম।এটাই পাসপোর্ট পাওয়ার বরিশাল স্টাইল।(ভুক্ত ভোগিরা মন্তব‍্য করুন)

লেখক:

অধ্যক্ষ মোঃ ওমর ফারুক
শিক্ষক নেতা

সর্বশেষ