২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
কাঠালিয়ায় জমি বিরোধীদের জেরে কৃষক কে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ ।। কুয়াকাটায় জেলের জালে ২৬ কেজির কোরাল বাউফলে পুলিশের সামনে আসামিকে মারধর করে পা ভেঙে দিলো বাদীপক্ষ ববির নারী কর্মকর্তাকে ধর্ষণ: পুলিশ কর্মকর্তার বিচার শুরু উজিরপুরের ৫ ইউনিয়নের শ্রমিক দলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা। শনিবারও খোলা থাকবে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খাল ও ড্রেন পরিষ্কার না করায় মশার উপদ্রব : মেয়র খোকন সেরনিয়াবাত আমতলীতে বাবার বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ায় স্ত্রীর ২৭ স্থানে কোপালো স্বামী গৌরনদীতে সিএইচসিপি’র বদলী আদেশ প্রত্যাহারের দাবীতে মানববন্ধন ভোলায় ডাকঘরে পোস্ট মাস্টারের আইসক্রিম ডিলারের ব্যবসা

সর্বদলীয় জাতীয় সরকার গঠনের জোর দাবি

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

ডেস্ক নিউজ:  জাতীয় স্মরণ মঞ্চ এর উদ্যোগে ৬ সেপ্টেম্বর দুপুরে বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি বঙ্গবীর মুহাম্মদ আতাউল গণি ওসমানী (এম.এ.জি ওসমানী) এর ১০৩তম জন্মবার্ষিকী স্মরণ উপলক্ষে “মুক্তিযুদ্ধ ঘিরে বিতর্ক ও তার প্রভাব” শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

জাতীয় স্মরণ মঞ্চের সভাপতি প্রকৌশলী আ.হ.ম মনিরুজ্জামান দেওয়ান মানিকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেনের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেন, আমরা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে বার বার শেখ হাসিনাকে দেখছি। তিনি বার বার প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। শেখ রেহানাকেও সুযোগ দিন। সেও বঙ্গবন্ধুর কন্যা। তাকে কিছু দায়িত্ব দিন। জাতীয় সরকার গঠনে জোর দাবি জানান। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগে তোফায়েল, মতিয়া চৌধুরীসহ আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতাদের নিয়ে এবং অন্যান্য দলের সিনিয়র নেতাদের নিয়ে একটি জাতীয় সরকার গঠন করে নির্বাচন কমিশন পুণর্গঠন করতে হবে। এই নির্বাচন কমিশনের অধিনে জাতীয় নির্বাচনে কোন পরিবর্তন গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠানিক রূপ পাবে না। আওয়ামী লীগের অধিনে ২২ সালে আবার নির্বাচন হলে গত নির্বাচনের মতো একটি রাতের ভোটের নির্বাচন হবে।
মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মোহাম্মদ ইবরাহিম বীরপ্রতীক বলেন, আমরা মুক্তিযোদ্ধারা এখনও বেঁচে আছি। আমাদের সামনে ইতিহাস বিকৃতির চেষ্টা করবেন না। আমাদের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস নিয়ে আমি একটি গ্রন্থ রচনা করেছি সেটিতে বিস্তারিত তুলে ধরেছি। জিয়াউর রহমান, মুক্তিযুদ্ধের ঘোষক ও একজন সেনা সংগঠক ছিলেন। তাকে নিয়ে বিতর্কিত ও মিথ্যা বক্তব্য দেওয়া থেকে বিরত থাকার উধার্থ আহ্বান জানাচ্ছি।

নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, মুক্তিযুদ্ধ একটি মহাকাব্য। সেটা নয়মাসেই হোক আর দীর্ঘই হোক। মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি বঙ্গবীর মুহাম্মদ আতাউল গণি ওসমানী (এম.এ.জি ওসমানী) রেসকোর্স ময়দানে ছিলেন না। কেন উপস্থিত ছিলেন না? তাদের কুট কৌশলের কারণেই ছিলেন না।

বিএফইউজে সভাপতি এম. আব্দুল্লাহ বলেন, ইতিহাস প্রতিদিন তাদের দ্বারা ধর্ষিত হচ্ছে। স্কুল কলেজে আজ ইতিহাস বিকৃত হচ্ছে। আমরা ইতিহাস বিকৃতের হাত থেকে রক্ষা পেতে চাই।

ডাকসুর সাবেক ভিপি নূর বলেন, আমাদের মাঠে থাকতে হবে। কয়জন পুলিশ আছে? কয়জন প্রশাসনিক কর্মকর্তা আছে? সাধারণ মানুষের সংখ্যাই বেশি। আমাদের একজনকে গ্রেফতার করলে হবে না আমাদের সবাইকে গ্রেফতার করুন, গুলি করুন, মারুন। প্রানপন বাজী রেখে আমাদের দাঁড়াতে হবে। আমরা যদি দাড়াতে পারি তবে সবাই আমাদের পাশে দাঁড়াবে।

আরো বক্তব্য রাখেন জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত ও সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খান, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির নির্বাহী সভাপতি মাওলানা এ. কে.এম আশরাফুল হক, দেশ রক্ষা আন্দোলনের আহ্বায়ক এম সানোয়ার হোসেন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন ডিইউজের সহ-সভাপতি বাছির জামাল, জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম দলের সভাপতি কামাল ফয়েজী, শেখ রফিকুল ইসলাম বাবুল, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাদেক আহমেদ, শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাকিম, বীর মুক্তিযোদ্ধা শরীফ হোসেন, জেনারেল ওসমানী জাতীয় পরিষদের সহ-সভাপতি মোঃ শফিকুল ইসলাম ও মোঃ আলী, হুমায়ুন কবির, এস এম তাজুল ইসলাম প্রমুখ।

সর্বশেষ