২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সেতু ভেঙে মৃত্যুকূপ!

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

সঞ্জিব দাস, গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি।
পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার পূর্ব বাহেরচর ও হরিদ্রখালী গ্রামের মধ্যে দিয়ে বয়ে যাওয়া গহিনখালী খালের ওপর নির্মিত সেতুটি ভেঙে একদিকে হেলে পড়েছে। কোনোমতে জিআই তার দিয়ে সেতুর তিনটি অংশ বেঁধে রাখা হয়েছে। যেকোন মুহূর্তে সেই তার ছিঁড়ে বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তবুও বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় আতঙ্কের মধ্যেও সেতু পারাপার হচ্ছে প্রতিদিন দু’পাড়ের শত শত লোক।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সেতুর তিনটি অংশ ভেঙেছে। একটি থেকে আরেকটি হয়েছে আলাদা। রড সংযুক্তি নেই, ভাঙা অংশগুলো জিআই তার দিয়ে বাঁধা। সেই তারের ওপর ভর করেই ঝুলছে সেতু। যানবাহনতো দূরে থাক, লোকজন চলাচল করলেও কেঁপে ওঠে। দেখলেই মনে হবে, মৃত্যুকূপ।স্থানীয়রা জানান, সেতুর একপাড়ে রাঙ্গাবালী, অন্যপাড়ে ছোটবাইশদিয়া। দু’পাড়ের মানুষের যোগাযোগ বন্ধনের জন্য সেতুটি নির্মাণ করা হয়। কিন্তু সেই সেতু এখন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) জানান, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে এলজিএসপি থেকে ৪ লাখ টাকা ব্যয়ে সেতুটি নির্মাণ করে ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ। জানা গেছে, নির্মাণের দুই বছরের মাথায় একটি ফিশিং বোটের ধাক্কায় সেতুর তিন অংশ ভেঙে যায়। এর পর থেকেই সেতুটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। গহিনখালী গ্রামের বাসিন্দা সোলায়মান বলেন, ‘সেতুটি এমনেতেই অনেক উচুঁ। তারমধ্যে আবার এখন ভাঙা। প্রতিদিনি সেতু পারাপার হতে গিয়ে এক-দুইটা দুর্ঘটনা ঘটতেই আছে। তাই পরিকল্পিতভাবে এখানে জনস্বার্থে একটি সেতু নির্মাণ প্রয়োজন।’সেতু পারাপার হতে গিয়ে মটরসাইকেল চালক তুহিন রাজ বলেন, ‘যাত্রী নামিয়ে একা গাড়ি চালিয়ে ব্রিজে (সেতু) উঠতে হয়। গাড়ি নিয়ে উঠলে থরথর করে কাঁপতে থাকে।’
ছোটবাইশদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান এবিএম আব্দুল মান্নান বলেন, ‘জনগণের স্বার্থে দ্রুত ওইখানে একটি টেকসই সেতু নির্মাণ প্রয়োজন।’
এ ব্যাপরে এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী মিজানুল কবির বলেন, ‘অনুর্ধ্ব এক শ’ মিটার ব্রিজ নির্মাণ প্রকল্পে ওই ব্রিজ (সেতু) অন্তর্ভুক্ত করণের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। প্রস্তাব অনুমোদন হলে সেতুটি নির্মাণ কাজ শুরু হবে।’

সর্বশেষ