৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

স্ত্রীকে ক্লার্ক পদে নিয়োগ দেয়ার পায়তারা তালতলীতে মাদ্রাসা অধ্যক্ষের নিয়োগ বানিজ্য

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

হারুন অর রশিদ, আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি।
বরগুনার তালতলীতে মোটা অংকের টাকার বিনিময় গোপনে সিনিয়র মাদরাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে নিয়োগ বানিজ্যের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগে মাদরাসার গভর্নিং বডি’র দুই তৃতীয়াংশ (তিন ভাগের দুই ভাগ) সদস্য মঙ্গলবার সাংবাদিকদের কাছে সম্মতি দিয়ে পৃথক পৃথক ভাবে স্বাক্ষাতকার দিয়েছেন।
অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার তালতলী ছোটভাইজোড়া ছালেহিয়া আলিম মাদরাসায় অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার অপারেটর ২টি, অফিস সহকারী কাম-হিসাব সহকারী-১টি ও নৈশ প্রহরী ১টি পদ শূন্য রয়েছে। শূন্য থাকা ৪টি পদের ১টিতে অধ্যক্ষের স্ত্রীকে নিয়োগ দেয়া ও বাকী ৩টি পদে নিয়োগ দেয়ার জন্য প্রায় ২০লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওঃ আবু জাফর মোঃ ছালেহ। মোটা অংকের টাকা নিয়ে নিয়োগ দেয়ার ঘটনাটি অনেকটা জানাজানি হলে গোপনে অপরিচিত পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে প্রায় ২০দিন আগে থেকেই অধ্যক্ষ ছালেহ গাঁ ঢাকা দিয়েছেন। নিয়োগ প্রক্রিয়ামতে গত ২৬ সেপ্টেম্বর মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েব সাইডে মহাপরিচালক কে, এম, রুহুল আমীনের স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে ডিজি প্রতিনিধি হিসাবে মাহফুজা ইয়াসমিন সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) নিয়োগের তথ্য প্রকাশ হয়। এতে এলাকার লোকজনসহ মাদরাসার গভর্নিং বডি’র সদস্যরা চমকে ওঠে।
মাদরাসার উপাধ্যক্ষ মাওঃ আবুল কালাম বলেন, মাদরাসার গভর্নিং বডিতে অধ্যক্ষ বাদে ৫জন সদস্যের মধ্যে ৪জনেই এ নিয়োগের কোন খবর জানিনা। মাদ্রাসার রেজুলেশন বহি আমার কাছে। এতে নিয়োগ সংক্রান্ত কোন রেজুলেশন হয়নি।
মাদরাসার গভর্নিং বডি’র সভাপতি মোঃ আলী আকবর হাওলাদার মোবাইল ফোনে বলেন, এবারে সভাপতি হওয়ার পরে নতুন নিয়োগের জন্য কোন রেজুলেশন বহিতে স্বাক্ষর দেইনি। নিয়োগের ব্যাপারে অধ্যক্ষ সাহেব কোনো আলোচনাও করেনি, সভাও ডাকেনি।
গভর্নিং বডি’র আরেক সদস্য আঃ সালাম বলেন, নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে অধ্যক্ষ সাহেব প্রায় ২০লক্ষ টাকা নিয়ে ৩টি পদে ও তার স্ত্রীকে ১টি পদে গোপনে নিয়োগ দেয়ার খবর পাওয়া গেছে। অধ্যক্ষ যদি একাই নিয়োগ দিতে পারে তাহলে সরকার প্রতিষ্ঠানে কি জন্যে ম্যানেজিং কমিটি গঠন করে তাহা আমার বোধগম্য নহে।

সর্বশেষ