অনলাইন ডেস্ক :: আদালতে হাজিরা দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে তিনজনকে হাতুড়ি ও রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করেছে বাদী পক্ষ।
মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার তুয়ারডাঙা সেতুর পাশে ঠিকাদার অহিদুল ইসলামের বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে।
গুরুতর অবস্থায় তাদের সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরে ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আহতরা হলেন, আশাশুনির খাজরা ইউনিয়নের গদাইপুর গ্রামের রুহুল কুদ্দুসের ছেলে হিমু (৩০), একই গ্রামের সামসুর সরদারের ছেলে মাসুদ (১৬) ও জামসেদ মোল্লা ছেলে মোস্তাকিম (২৬)।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, গদাইপুর গ্রামের মৃত সরবত মোল্লার ছেলে পলাশ ও সবুজ।
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মাসুদ হোসেন জানান, গত ১১ এপ্রিল গ্রামের সরবত মোল্লাকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় ৫৭ জনকে আসামি করে আশাশুনি থানায় হত্যা মামলা করা হয়। এরপর থেকে গ্রামের ঠিকাদার খুলনায় বসবাসকারী অহিদুল মোল্লা ও তার লোকজন সরবত হত্যা মামলার আসামিদের দেখে নেয়ার হুমকি দিয়ে আসছিল।
মাসুদ আরও জানান, মঙ্গলবার তিনিসহ সকল আসামি সাতক্ষীরা আদালতে হাজিরা দেন। সেখান থেকে বাড়ি ফেরার পথে তারা উপজেলার মানিকখালি থেকে একটি ভাড়ায় চালিত মোটর সাইকেলে ওঠেন। তুয়ারডাঙা সেতর উত্তর পাশে অহিদুল মোল্লার নতুন বাড়ির সামনে পৌঁছানো মাত্র অহিদুলের সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যরা তাদের বহনকারী মোটর সাইকেলের গতিরোধ করে গাড়ি থেকে নামায়। এ সময় তারা হাতুড়ি ও রড দিয়ে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক পেটায়। পিটুনিতে তার বাম হাত ও দুই পা ভেঙে যায়।
হামলাকারীরা হিমু ও মোস্তাকিমকে ধরে অহিদুল মোল্লার বাড়িতে নিয়ে হাতুড়ি ও রড দিয়ে পিটিয়ে জখম করে। এতে মোস্তাকিমের ডান হাত ও দুই পা ভেঙে দেয়া হয়েছে। একইভাবে হিমুর ডান হাত ও দুই পা ভেঙে দেয়া হয়েছে। পরে পথচারিরা তাদের সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. শারমিন ফিরোজ বলেন, মাসুদ, হিমু ও মোস্তাকিমের একটি করে হাত ও দুটি করে পা ভারি জিনিস দিয়ে আঘাত করে ভেঙে দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে ঠিকাদার অহিদুল মোল্লা বলেন, তিনি মুহূর্তে আরিচা ঘাট পার হচ্ছেন। তবে তার বাড়ির সামনে এলাকার ছেলেরা তিনজনকে চড় থাপ্পড় মেরেছে বলে তিনি শুনেছেন।
আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. গোলাম কবির জানান, এ ঘটনায় পুলিশ শিমুল ও সবুজকে গ্রেফতার করেছে। আহত মোস্তাকিমের মা মঞ্জুয়ারা বাদি হয়ে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।