৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

হিজলায় আ’লীগের দুই দুগ্রুপে ব্যাপক সংঘর্ষ, পুলিশসহ আহত অর্ধশত

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশালের হিজলায় উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতিকে মারধরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের ব্যাপক সংঘর্ষ ঘটেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৫ রাউন্ড ফাকা গুলি ছুড়েছে পুলিশ। এতে পুলিশের চার সদস্যসহ কমপক্ষে অর্ধশত ব্যক্তি আহত হয়েছে। আহত পুলিশ সদস্যদের স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে উপজেলার আওয়ামী লীগ কার্যালয় সংলগ্ন খুন্নাগোবিন্দপুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে- সন্ধ্যার দিকে স্থানীয় সংসদ সদস্য পঙ্কজ দেবনাথের অনুসারী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সোলায়মান হোসেন শান্ত এবং উপজেলা নারী ভাইস চেয়ারম্যান নাজমা বেগমের ছেলে নাঈম মোটরসাইকেলযোগে খুন্না বন্দর থেকে উপজেলা সদরে যাচ্ছিলেন। খুন্নাগোবিন্দপুর এলাকা অতিক্রমের সময় সেখানে উপস্থিত থাকা বিরোধী গ্রুপ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান মাহমুদ টিপুর অনুসারী উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ তানভির দলবল নিয়ে শান্ত ও নাঈমের উপর হামলা চালায়। এতে শান্ত ও নাঈম দুজনেই আহত হন। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে আহত দুজনকে হিজলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পাশাপশি তাদের মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

এরপরই হামলার খবর ছড়িয়ে পরলে পঙ্কজ দেবনাথের অনুসারীরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জড়ো হতে শুরু করে। উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে পাল্টা জড়ো হয় টিপু গ্রুপের লোকজন। উভয়গ্রুপের লোকজন লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে জড়ো হলে উত্তপ্ত অবস্থার সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

কিন্তু এরপরও উত্তেজনা বৃদ্ধি পেলে রাত সোয়া ১০টার দিকে দুই গ্রুপের ব্যাপক সংঘর্ষ ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জ ও ৫ রাউন্ড ফাকা গুলি ছোড়ে। সংঘর্ষের ঘটনায় হিজলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি/তদন্ত) তরিকুল ইসলাম তারেক ও চার পুলিশ কনস্টেবলসহ অন্তত অর্ধশত ব্যক্তি আহত হয়। ভাঙচুর করা হয় ৫টি মোটরসাইকেল। আহত পুলিশ সদস্যদের দুজনকে হিজলা এবং একজনকে মুলাদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

হিজলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অসীম কুমার সিকদার বলেন, সংঘর্ষের মধ্যে থেকে ফাঁকা গুলিও ছুড়েছে কোনো একটি পক্ষ। বিষয়টি তদন্ত চলছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছেন হিজলার এএসপি সার্কেল মতিউর রহমান।

হিজলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বকুল চন্দ্র কবিরাজ বলেন, পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত উপজেলায় রাজনৈতিক কর্মসূচি স্থগিত রাখার নির্দেশ জারি করা হয়েছে। জাতীয় কর্মসূচি উপজেলা প্রশাসন পালন করবে।’

সর্বশেষ