৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১৮ বছর পর গণশৌচাগার থেকে ঘরে ফিরলো সুমন-সাথী দম্পতি

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

বাবুগঞ্জ প্রতিনিধি ঃ বরিশালের বাবুগঞ্জে পাঁচ সন্তানসহ ১৮ বছর ধরে গণশৌচাগারেই বসবাস সুমন-সাথী দম্পতির। মাথা গোঁজার কোনো ঠাঁই না পেয়ে এখানেই সংসার গড়েন তারা। বিষয়টি বাবুগঞ্জে কর্মরত সাংবাদিকদের লেখনীর মাধ্যমে নজরে আসে বাবুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আমীনুল ইসলামের।

তাৎক্ষণিক তিনি খাদ্য সামগ্রী ও শীতবস্ত্র নিয়ে হাজির হয়েছিলেন সুমন সাথী দম্পতির বাবুগঞ্জ বাজারস্থ গণসৌচাগারের ঘরে। তখনই সাথী দম্পতি কে মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের ঘর দেয়ার আশ্বাস দেন নির্বাহী কর্মকর্তা।

গতকাল শনিবার বিকালে প্রতিশ্রুতি দেয়া প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘরের চাবি হস্তান্তর করেন বাবুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আমীনুল ইসলাম।

এসময় উপস্থিত ছিলেন,বাবুগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব কাজী ইমদাদুল হক দুলাল, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ ইকবাল আহমেদ আজাদ, সহকারী কমিশনার ( ভূমি) মোঃ মিজানুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ শাহ আলম সিকদার, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুদ করিম লাভলু, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ ছাদেকুর রহমান সুরুজ, বাবুগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোঃ শাহজাহান খান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাইফুল ইসলাম, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মাদ আলী, স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ সুলতান সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য ১৮ বছর আগে মাদারীপুর জেলার কালকিনি থেকে জীবিকার তাগিদে বরিশালের বাবুগঞ্জে এসেছিলেন সুমন ও সাথী। ২০০৩ সালের দিকে জীবিকার তাগিদে স্বামীর সাথে বাবুগঞ্জ বন্দরে বসবাস শুরু করেন।

মাথা গোঁজার নিজস্ব কোনো ঘর না থাকায় বন্দরের গণশৌচাগারের সেফটি ট্যাংকের ওপরে বসতি গড়েন তারা। আর সেখানেই কাটিয়েছেন ১৮ বছর। পঙ্গু স্বামী আর পাঁচ সন্তান নিয়ে কোনো রকম মানবেতর জীবনযাপন করছিলেন সাথী।

এ ঘটনা বাবুগঞ্জে কর্মরত সাংবাদিকদের লেখনীর মাধ্যমে জানতে পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ আমীনুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এ সময় সাথীর সঙ্গে কথা বলেন এবং তাকে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি। আর তাৎক্ষণিকভাবে অসহায় এই দম্পতিকে শীতবস্ত্র ও ২০ কেজি চাল দেন ইউএনও।

এ ব্যাপারে বাবুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা( ইউএনও) মোঃ আমীনুল ইসলাম জানান,

সাথী দম্পতির সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র নেই। কিন্তু ঘর পেতে হলে পরিচয়পত্রের প্রয়োজন। তাই বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে পরিবারটির জন্য জমিসহ ঘর পেতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হয়েছিল। তারই ধারাবাহিকতায় তাদের জন্মনিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্র করিয়ে দেয়া হয়েছে। আজ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে।

সর্বশেষ