৬ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

৩ দিনেও জট খুলেনি মালিহার মৃত্যুর, কথিত স্বামীর পরিচয় নিয়ে ধোঁয়াশা

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশালের ইউনিভার্সিটি অব গ্লোবাল ভিলেজের শিক্ষার্থী মালিহা ফরিদী সারার অস্বাভাবিক মৃত্যুর জট তিন দিনেও খুলেনি। পরিবারের অভিযোগ মালিহাকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনার তদন্ত ও বিচার দারি করেন তারা।

বিবাহিত পরিচয়ে মালিহা নগরীর কলেজ এভিনিউ এলাকার একটি ফ্লাটে ভাড়া থাকতেন। ঘটনার দিন অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মালিহার বাবা ফরিদ আহমেদের দাবি, মালিহার শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাকে হত্যা করা হয়েছে। তবে কে বা কারা এবং কি জন্য তা স্পস্ট করে জানাতে পারেননি তিনি।

জানা গেছে, মো. তানভীর রাফি নামে এক চাকরিজীবী যুবকের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল মালিহার। বাড়িওলার কাছে জমা দেয়া ভাড়াটিয়ার তথ্য ফরমে মো. তানভীর রাফি নামে এক ব্যক্তিকে স্বামী হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন তিনি।

তবে, মালিহার সাবেক প্রেমিক তানভীর রাফির দাবি, তার সাথে বেশ কয়েকবছর যাবত যোগাযোগ নেই। নতুন করে সম্পর্ক জড়িয়েছে মালিহা। সে সম্পর্কের কারনে ঘটতে পারে এই ঘটনা। মালিহার সহপাঠী ও বান্ধবি আশা আক্তার বলেছেন, মানসিক চাপে ভূগছিলো সে। ঘটনার দুই-একদিন দিন আগে মালিহা একথা মুঠোফোনে তাকে জানিয়েছিল।

এদিকে মালিহার বাড়িওয়ালা আবুল কাশেম জানান, কথিত স্বামী মাঝে মাঝে মালিহার ফ্লাটে আসতেন। তবে মালিহার মৃত্যু কিভাবে ঘটেছে সে বিষয়ে কিছুই জানেন না তিনি।

কোতয়ালী মডেল থানার ওসি মো. নুরুল ইসলাম ঘটনার দিন জানিয়েছিলেন, মালিহার সঙ্গে সরকারি বরিশাল কলেজের অনার্সের শিক্ষার্থী ও নগরীর একটি ভিভো ফোন শো রুমের এক কর্মচারীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ওই ছেলের বাবা-মায়ের দাবি তারা শনিবার রাতে ওই বাসায় গিয়ে ওই ছাত্রীকে গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় পেয়েছেন। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পর মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।

বিষয়টি নিয়ে মঙ্গলবার যোগাযোগ করা হলে ওসি নুরুল ইসলাম জানান, মালিহার মরদেহের ময়নাতদন্ত হয়েছে। কেউ মামলা করেনি। পুলিশ বাদি হয়ে থানায় অপমৃত্যুর মামলা করেছে। ঘটনার তদন্ত চলছে। তবে, মালিহার কথিত সেই স্বামীর বিষয়ে এখনও স্পষ্ট কোন ধারণা পায়নি বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

মালিহার বাড়ি বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলা সদরে। পড়াশুনার জন্য বরিশালে বাসা ভাড়া করে থাকতেন তিনি। পরিবারের দাবি মালিহা অবিবাহিত। তবে ভাড়া বাসায় বিবাহিত পরিচয় দিয়ে থাকতেন মালিহা। চার বোনের মধ্যে মালিহা সবার ছোট।

সর্বশেষ