২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

৭১ বছরেও নির্মাণ হয়নি বাবুগঞ্জ উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার!

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

বাবুগঞ্জ (বরিশাল) প্রতিনিধি ::: ভাষা আন্দোলনের ৭১ বছর পার হতে চললেও নির্মাণ হয়নি বাবুগঞ্জ উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার । অথচ ২১ ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস সারা বিশ্বে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালিত হয়।

এ মাসের ২১ ফেব্রুয়ারি পালিত হবে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। অথচ বরিশালের বাবুগঞ্জে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নির্মানে বরাদ্দ থাকা সত্ত্বেও যায়গা নির্ধারনে গাফলতির কারনে শুরুই হয়নি নির্মাণ কাজ।

১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন পরবর্তী দীর্ঘ সময়েও নির্মাণ হয়নি বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার। যে কারণে ২০১০ সাল পর্যন্ত প্রতি বছর ২১শে ফেব্রুয়ারি এলেই উপজেলা পরিষদ ও উপজেলা প্রশাসন অস্থায়ী ভাবে নির্মিত শহীদ মিনার তৈরি করে তাতে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতো। ২০১০ সালে বাবুগঞ্জের কৃতি সন্তান কেমিকো ফার্মাসিটিক্যাল লিমিটেড এর চেয়ারম্যান প্রয়াত আলহাজ্ব এম এ কালামের নিজস্ব অর্থায়নে দশ লাখ টাকা ব্যায়ে বাবুগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ মাঠে একটি শহীদ মিনার স্থাপন করেন। সেটিই উপজেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।

ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে উপজেলার কেন্দ্রীয় কোন শহীদ মিনার নেই। শহীদ মিনার নির্মাণে কোন জনপ্রতিনিধি কিংবা উপজেলা প্রশাসনের তৎপরতা দেখা যায়নি। গত তিনমাস আগে শহীদ মিনার নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে সংরক্ষিত মহিলা আসন-৪৮ এর সংসদ সদস্য লুৎফুন নেছা খান সরকারি বরাদ্দে শহীদ মিনার নির্মানের ব্যাপারে উদ্দ্যোগ গ্রহন করেন। সে লক্ষ্যে গেল ২০২১-২০২২ অর্থবছরে গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে বাবুগঞ্জ উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নির্মানে ৬ লক্ষ টাকা বরাদ্দ প্রদান করেন। শহীদ মিনার নির্মাণ ও স্থান নির্ধারনের ব্যাপারে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য লুৎফুন নেছা খান উপজেলা পরিষদের সাথে মতবিনিময়ও করেন। বরাদ্দের ৩ লক্ষ টাকা ২০২১-২০২২ অর্থবছরে উত্তোলন করেন এর প্রকল্প সভাপতি উপজেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহিন হোসেন।

এ বিষয়ে প্রকল্পের সভাপতি ও ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক শাহিন হোসেন বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যানের গাফেলতির কারণে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নির্মাণ কাজ পিছিয়ে গেছে। তাঁর সদিচ্ছা থাকলে বহু আগেই এটি নির্মাণ হত। তিনি (উপজেলা চেয়ারম্যান) জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ্ উপজেলা পরিষদ ভবন ও বঙ্গবন্ধুর মুর্যা্ল উদ্ধোধন করবেন বলে সময় ক্ষেপণ করে নির্মান কাজ পিছিয়ে নিয়েছে। যার ফলে চলতি বছরও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নির্মাণ পিছিয়ে যাচ্ছে এবং বরাদ্দও ফেরৎ যাওয়ার আশংকা রয়েছে। ফলে আবারো ৫ কিলোমিটার দূরে গিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে হবে উপজেলা প্রশাসন ও সংশ্লিষ্টদের। বাবুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব কাজী ইমদাদুল হক দুলাল সে সময় উপজেলা পরিষদের সামনে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালের দক্ষিণ পাশে নির্মাণের ব্যাপারে স্থান নির্বাচন করেন। কিন্তু দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও সেখানে শহীদ মিনার নির্মাণের কোন পদক্ষেপ গ্রহন করেননি উপজেলা পরিষদ।

এ ব্যাপারে বাবুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব কাজী ইমদাদুল হক দুলাল বলেন- উপজেলা পরিষদের জায়গায় কোন স্থাপনা নির্মাণ করতে হলে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের বিষয় রয়েছে। আমরা ইতিমধ্যেই শহীদ মিনার নির্মাণ ও এর স্থান নির্ধারণের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছি। এটি সময়ের ব্যাপার। চলতি বছরই শহীদ মিনার নির্মাণ করা হবে।

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নির্মাণের ব্যাপারে বাবুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুসরাত ফাতিমার সাথে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

সর্বশেষ