২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

অপরিপক্ক তরমুজে বরিশালের বাজার সয়লাব, বিক্রি হচ্ছে কেজি দড়ে

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

এম সাইফুল ইসলাম– 

সারাদেশের মতো বরিশাল শহরের বিভিন্ন বাজারে তরমুজের বিক্রি শুরু হয়ে গেছে। বিভিন্ন গ্রাম পর্যায়ে থেকে চাষিরা তরমুজ নিয়ে বরিশালে আসছেন। আবার সেখান থেকে জেলা শহরের বিভিন্ন বাজার রপ্তানি করা হচ্ছে। আর এসব আমদানি রপ্তানি থাকলেও বেশিরভাগ তরমুজ পরিপক্ক নয়। কাটার পর ভিতরে লাল রং ধারণ করলেও এখনো মিষ্টি স্বাদ আসেনি পুরোপুরি। ফলে এসব অপরিপক্ক তরমুজ চড়া দামে কিনে প্রতারিত হচ্ছেন ক্রেতারা। এদিকে ভিতরে লাল দেখিয়ে মিষ্টি না হওয়া সত্তেত্ব চড়া দামে বিক্রি করছেন ক্রেতাদের কাছে। প্রতি পিস তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকা কেজি দরে। পিস হিসেবে নিতে গেলে দাম চাওয়া হচ্ছে আকাশ ছোঁয়া। তখন বাধ্য হয়ে ক্রেতারা কেজি হিসেবেই তরমুজ কিনছেন।
এ ব্যপারে শহরের বিভিন্ন স্থানে ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তারা কেজি দরে তরমুজ বিক্রি বন্ধের ব্যাপারে প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেন। পিস হিসেবে তরমুজ কিনতে চান তারা। কেননা একটি ছোট তরমুজ কেজি হিসেবে কিনতে প্রায় ৫শ টাকার উপরে দাম পড়ে। ফলে তা ক্রেতার নাগালের বাইরে। এদিকে খুচরা বিক্রেতাদের দাবি, এখন মোকামে তরমুজের সরবরাহ কম, দাম বেশি। বরিশাল অঞ্চলের পটুয়াখালী, বরগুনা, ভোলা ও ঝালকাঠিতে এবার প্রচুর তরমুজ হয়েছে। তবে এখনো মৌসুম পুরোপুরি শুরু না হওয়ায় সব এলাকার তরমুজ আসছে না। রমজান মাসে চাহিদা বেশি থাকায় এসব অপরিপক্ক তরমুজগুলোয় তাদের বাধ্য হয়ে কিনতে হচ্ছে।জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সাধারণত ডিসেম্বর মাসে তরমুজের আবাদ শুরু হয়। মে মাসজুড়ে মাঠে তরমুজ থাকে। মে মাস হলো ভরা মৌসুম। পরিপক্ক তরমুজ উঠতে উঠতে চৈত্র মাস বা এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ হয়। কিন্তু চাষিরা দামের কারণে আগেভাগেই অপরিপক্ক তরমুজ তুলে বেশি লাভের আশায় বিক্রি শুরু করে দিয়েছে। অপরদিকে কেজি দড়ে তরমুজ কিনতে নারাজ বরিশালের মানুষ। তাই প্রতিদিন যাতে বাজারে মনিটরিং করা হয় সে ব্যপারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন তারা।

সর্বশেষ