৬ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সাঈদীর জানাজায় ছেলে মাসুদকে জামায়াত ইসলামীর প্রার্থী ঘোষণা

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

পিরোজপুর প্রতিনিধি ::: মানবতাবিরোধী অপরাধে আমৃত্যু কারাদণ্ডে দণ্ডিত জামায়াতে ইসলামীর সিনিয়র নায়েবে আমির ও পিরোজপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে দাফন করা হয়েছে। বড় ছেলের কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়। এদিকে সাঈদীর ছোট ছেলে মাসুদ সাঈদীকে পিরোজপুর-১ আসনে জামায়াতের প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুরে পিরোজপুর নতুন বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন তার নিজের নামে প্রতিষ্ঠিত সাঈদী ফাউন্ডেশনে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে বড় ছেলে মাওলানা রফিক বিন সাঈদীর পাশেই চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়।

এর আগে মঙ্গলবার দুপুর ১টা ১০ মিনিটে সাঈদী ফাউন্ডেশনের মাঠে হাজার হাজার ভক্ত-অনুসারীদের উপস্থিতিতে তার জানাজা সম্পন্ন হয়। জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত আমির অধ্যাপক মজিবর রহমান জানাজায় ইমামতি করেন।

জানাজার আগে এক সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত আমির অধ্যাপক মজিবর রহমান বলেন, এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন নয়। আন্দোলনের মাধ্যমে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই নির্বাচন করতে হবে।

এ সময় তিনি উপস্থিত জনতার সামনে আগামী সংসদ নির্বাচনে পিরোজপুর-১ আসনে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ছোট ছেলে মাসুদ সাঈদীকে জামায়াতের প্রার্থী ঘোষণা করেন এবং সবার ভোট প্রার্থনা করেন।

মাসুদ বিন সাঈদী বলেন, রোববার তার পিতা অসুস্থ হলেও তাদের জানানো হয় পিজি হাসপাতালে ভর্তির পর। তারপরও সোমবার সারা দিন অনেক অনুরোধ করার পরও কর্তৃপক্ষ তাদের পরিবারের কাউকেই তাদের পিতাকে দেখতে দেয়নি বলে অভিযোগ করেন তিনি।

জানাজায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি (ভারপ্রাপ্ত) এটিএম মাসুম, ছাত্রশিবিরের সভাপতি রাজিউর রহমান পলাশ, সেক্রেটারি মঞ্জুরুল ইসলামসহ বিভিন্ন জেলা-উপজেলার সভাপতি-সম্পাদকরা।

২০০৬ সালে পিরোজপুর-১ আসন থেকে জামায়াত এবং ২০০১ সালে পুনরায় চার দলীয় ঐক্যজোট থেকে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।

সোমবার রাত ৮টা ৪০ মিনিটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেলে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যু হয়।

প্রসঙ্গত, ২০১০ সালের ২৯ জুন রাজধানীর শাহীনবাগের বাসা থেকে গ্রেফতার হন সাঈদী। পরে ২ আগস্ট মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়।

সর্বশেষ