৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

গ্রাম বাংলা থেকে হারিয়ে যাচ্ছে খেজুর গাছ ও তার রস

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

আগৈলঝাড়া প্রতিনিধিঃ
একসময় বরিশালের আগৈলঝাড়ায় অধিকাংশ রাস্তার পাশে, পুকুর পাড়ে ও কৃষি জমির পাশে ছিল প্রচুর পরিমাণ খেজুর গাছ। শীত মৌসুম শুরু হতেই গাছীরা ব্যাস্ত হয়ে পড়তো খেজুরের রস সংগ্রহ করার কাজে। সেই রসের চাহিদাও ছিল প্রচুর। ফলে বিভিন্ন পিঠা, পুলি ও পায়েসসহ নানা প্রকার খাবার তৈরির জন্য খেজুরের রস ছিল অন্যতম উপাদান। এ জন্য গাছীদের চাহিদার কথা বলে রাখতে হতো। ফলে যাদের খেজুর গাছ ছিল না তারাও রস খাওয়া থেকে বঞ্চিত হতেন না। তখন শীতে আনন্দময় পরিবেশ বিরাজ করত। বিশেষ করে এ মৌসুম এলে গাছীদের আনন্দের সীমা থাকত না। খেজুরের রস সংগ্রহের জন্য মহাব্যাস্ত হয়ে পড়তেন তারা। গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যের প্রতীক এ মধুবৃক্ষকে ঘিরে গ্রামীণ জনপদে থাকত উৎসবমুখর পরিবেশ। এ সময় মেহমান আসা মানেই খেজুরের রস ও আমন ধানের পিঠা, পুলি ও পায়েশ দিয়ে আপ্যায়ন। তাছাড়া খেজুরের গুড় দিয়ে মুড়ির মোয়া, চিরার মোয়া ও মুড়ি খাওয়ার জন্য কৃষক পরিবার থেকে শুরু করে সর্বস্তরের মানুষের শীতের মৌসুম অতিপ্রিয়। কিন্তু ইটভাটা, বাণিজ্যিক চাষ, সুষ্ঠু তদারকি না করার ফলে উপজেলার ঐতিহ্যের বাহক গ্রাম থেকে খেজুরগাছ আজ বিলুপ্তি প্রায়। বরিশাল জেলাসহ বিভিন্ন জেলা ইটভাটাগুলোর বেশির ভাগই কয়লার পরিবর্তে কাঠ পোড়ানো হচ্ছে। বেশিরভাগ ইটভাটাগুলোর কাঠ এ উপজেলা থেকে সরবরাহ করা হয়। কেবল তা-ই নয়, খেজুর গাছের দহন ক্ষমতা বেশি হওয়ায় এ জেলায় অধিকাংশ ইটভাটা গুলোতে খেজুর গাছ পোড়ানো হচ্ছে। এতে করে খেজুরগাছ দিনকে দিন কমে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ ও সচেতনার জন্য সকল মহলের সহায়তা কামনা করেছেন এলাকাবাসী।

সর্বশেষ