খলিফা মাইনুল : হঠাৎ ঘূর্ণিঝড় ‘জোয়াদ’ লঘুচাপে পরিণত হয়ে অগ্রাহয়ণে যে বৃষ্টির কারনে বরিশালের কৃষকের মাথায় হাত পড়েছে। দক্ষিণের উপজেলা গুলোতে জমির আমন ধান এখনও কাটা হয়নি। অসময়ের বৃষ্টি আর ঝড়ো হাওয়ায় শুয়ে পড়েছে প্রায় দশ হাজার একর জমির ধান গাছ বলে জানিয়েছেন কৃষি কর্মকর্তারা। আর এ উপজেলাগুলোতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রবি শস্যের ক্ষেতেও। ক্ষতি পোষাতে সরকারি সহায়তা চায় বরিশালের কৃষকরা।
ঝালকাঠি জেলার এক কৃষি কর্মকর্তা জানান, জমিতে কেটে রাখা ধান, শসা ও সবজি ক্ষেতের ক্ষতি হয়েছে। ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত লঘুচাপের প্রভাব থাকতে পারে। এরপর ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করা হবে। প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহ চলছে।
জেলার নলছিটি, নাচনমহল,রানাপাশা,হদুয়া,নেয়মুতিসহ কয়েকটি এলাকায় আমনের আবাদ বেশি হয়। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসাবে জেলায় এবার এক লাখ ৮০ হাজার ৫০০ একর জমিতে আমনের চাষ হয়েছে।
কৃষক ছোরাব মোল্লা বলেন, আমার জমির একটা ধানও কাটা হয়নি। সবে রঙ এসেছিল। আরও সপ্তাহ দুয়েক পর কাটব ঠিক করেছিলাম। সোমবারের বৃষ্টিতে সব ধান গাছ শুয়ে পড়েছে। বছরে আমনের ফলন থেকেই পরিবারের সারাবছরের খোরাকি চালের যোগান আসে আমার পরিবারে।
নলছিটি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বলেন, হেলে পড়া গাছ থেকে পুরো ধান পাবেন না কৃষক। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হবে সরিষার। কারণ সরিষার মৌসুম প্রায় চলেই যাচ্ছে। যারা সপ্তাহ খানেক আগে আলু লাগিয়েছেন তাদের বেশি ক্ষতি হবে। কৃষকদের বলেছি জমির পানি নিষ্কাশন করতে। আবার বৃষ্টি না হলে ক্ষতি কমবে। কৃষকদের নতুন করে আলু বীজ সরবরাহ এবং অন্য ফসল লাগাতে চাইলে সে বিষয়ে সহায়তা দেয়া হবে।