২৮শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

আগৈলঝাড়ায় চাঁদা না দেয়ায় খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির ডিলারকে পেটালো শ্রমিক লীগ নেতা

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

নিজস্ব প্রতিবেদক ::: বরিশালের আগৈলঝাড়ায় চাঁদা না দেওয়া খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির ডিলার মণিশংকরকে মারধর ও তাঁর গোডাউনে তালা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শ্রমিক লীগ নেতা প্রদীপ সমাদ্দার ও যুবলীগ নেতা মন্মথ সরকারের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

তবে অভিযুক্ত প্রদীপ সমাদ্দারে দাবি, ‘ওই ডিলারশিপে আমাদের তিনজনের নামে করার কথা থাকলেও মণিশংকর গোপনে নিজের নামে করেছে। একবার আমাকে তিন হাজার টাকা দিয়েছিল। পরে টাকা না দেওয়ায় তাঁর সঙ্গে বিরোধের সৃষ্টি হলে আমি তাঁকে ঝাড়ু দিয়ে পিটিয়েছি।’

আহত ডিলার মণিশংকর ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার রত্নপুর ইউনিয়নের ৪টি ওয়ার্ডে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির ডিলার মণিশংকর সরকার মোল্লাপাড়া বাজারে ৩১৯ জন কার্ডধারীদের মাঝে ১৫ টাকা কেজি দরে ৩০ কেজি করে চাল বিক্রি করে আসছিলেন। এই কার্ডধারীরা প্রতিবছর ৫ মাস চাল পেয়ে আসছেন। ওই ডিলারের কাছে দীর্ঘদিন ধরে রত্নপুর ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সভাপতি প্রদীপ সমাদ্দার চাঁদা দাবি করে আসছিলেন।

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সকালে ওই ডিলার নিজ বাড়ি থেকে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির মার্চ মাসের চাল দেওয়ার জন্য মোল্লাপাড়া বাজারে গোডাউনে আসলে রত্নপুর ইউনিয়ন শ্রমিক লীগ সভাপতি প্রদীপ সমাদ্দার ও ৪ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি মন্মথ সরকার চাঁদার জন্য মণিশংকরকে মারধর করে আহত করে।

তাঁর মোল্লাপাড়া বাজারের চালের গোডাউনে তালা লাগিয়ে দেন। এর পূর্বেও প্রদীপকে একাধিকবার চাঁদা দিয়েছিলেন বলে জানান খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির ডিলার মণিশংকর। এই চাঁদা দেওয়ার ঘটনা ডিলার রত্নপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা সরদারকেও জানিয়েছিল।

মারধরের ঘটনার পর মণিশংকর মঙ্গলবার দুপুরে আগৈলঝাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারিহা তানজিনের সঙ্গে দেখা করেন এবং বিস্তারিত ঘটনা খুলে বলেন। এরপর ইউএনও তাৎক্ষণিক আগৈলঝাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলম চাঁদকে ফোনে ডিলার মণিশংকরের অভিযোগের প্রেক্ষিতে মামলা নেওয়ার নির্দেশ দেন।

এ ব্যাপারে রত্নপুর ইউনিয়ন শ্রমিক লীগ সভাপতি অভিযুক্ত প্রদীপ সমাদ্দার বলেন, ‘ওই ডিলারশিপ আমার, মন্মথ ও মণিশংকরের নামে করার কথা ছিল। মণিশংকর গোপনে একা নিজের নামে করেছে। একাধিকবার এ ঘটনা নিয়ে বসার পরে একবার আমাকে তিন হাজার টাকা দিয়েছিল। পরবর্তীতে টাকা না দেওয়ার কথা জিজ্ঞাসা করলে মণিশংকর আমাকে গালাগালি করলে মন্মথ সরকার ও আমি (প্রদীপ) তাঁকে চড় থাপ্পড়সহ ঝাড় দিয়ে পিটিয়েছি।’

এ বিষয়ে রত্নপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা সরদার বলেন, ডিলার মণিশংকরকে মারধর করা ঠিক হয়নি। এর পূর্বেও ডিলার মণিশংকর, প্রদীপকে টাকা দিয়েছিল বলে আমাকে জানিয়েছিল।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারিহা তানজিন বলেন, ‘খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির ডিলার আহত মণিশংকর সরকারের আমার কাছে আসলে তার কথা শুনে তাঁকে চিকিৎসাসহ থানায় মামলা করার জন্য নির্দেশ দিয়েছি।’

সর্বশেষ