বরগুনা প্রতিনিধি :: বরগুনার আমতলীতে মায়ের মৃত্যুর শোক সইতে না পেয়ে ১২ বছরের শিশু ফাতিমা আক্তার গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার ভায়লাবুনিয়া গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটেছে। রোববার (৩ জানুয়ারি) পুলিশ শিশুটির মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
আমতলী উপজেলার ভায়লাবুনিয়া গ্রামের মজনু হাওলাদার জানিয়েছেন, তার স্ত্রী বিলকিস বেগম গত বছর ২০ নভেম্বর মরণব্যাধি ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। মায়ের এ মৃত্যু মেনে নিতে পারেনি ১২ বছরের শিশুকন্যা ফাতিমা আক্তার। মায়ের মৃত্যুর পর থেকেই মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে। প্রায়ই একা একা ঘরের মধ্যে বসে থাকতো। পরিবারের লোকজন বুঝিয়ে তাকে মায়ের শোক ভোলাতে পারেনি। শনিবার সন্ধ্যায় শিশু ফাতিমা ঘরের দোতলায় শুয়েছিল। ওই সময় ঘরে কেউ ছিল না।
এ সুযোগে শিশু ফাতিমা ঘরের আড়ার সাথে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দেয়। ফাতিমার সারাশব্দ না পেয়ে পরিবারের লোকজন তাকে খুঁজতে থাকে। পরে ঘরের দোতলায় আড়ার সাথে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় তাকে দেখতে পায়। খবর পেয়ে পুলিশ ওইদিন রাতে শিশু ফাতিমার মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। রোববার সকালে তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা মর্গে প্রেরণ করেছে। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
আমতলী থানার এসআই শুভ বাড়ৈ বলেন, পরিবারের দাবি মায়ের মৃত্যুর শোক সইতে না পেয়ে আত্মহত্যা করেছে।
আমতলী থানায় ওসি মো. শাহ আলম হাওলাদার বলেন, শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় অপমৃত্যু মামলা হয়।