২৮শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
রাঙ্গাবালীতে খালে মিলল ‘টর্পেডো’, আতঙ্কে গ্রামবাসী তজুমদ্দিনে আগুনে পুড়ে ১৩ দোকান ছাই, পাঁচ কোটি টাকার ক্ষতি হিজলায় লঞ্চে উঠতে গিয়ে নদীতে পড়ে নারী নিখোঁজ বরিশালকে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন নগরীতে রূপান্তর করতে বসানো হচ্ছে আধুনিক ডাস্টবিন মির্জাগঞ্জে তুচ্ছ ঘটনার জেরে গৃহবধূকে মারধর।। ঝালকাঠিতে নানা আয়োজনে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস উদযাপন কলাপাড়ায় বর্নাঢ্য আয়োজনে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস পালিত সাজানো মামলায় গ্রেফতার হয়ে কারাবাসঃ মোস্তফার পরিবারের বিষাদময় ঈদ বাকেরগঞ্জে হিটস্ট্রোকে আ.লীগ নেতার মৃত্যু গৌরনদীতে চেয়ারম্যান প্রার্থী হতে মেয়রের পদ ছাড়লেন হারিছুর

কাঁঠালিয়ায় ইউএনও’র নামে ঘুষ নিলেন উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

ঝালকাঠি প্রতিনিধি ::: ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার আমুয়া মৎস্য আড়তের ইজারা পাইয়ে দেবার কথা বলে এক নারীর কাছ থেকে দুই লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কাঁঠালিয়ার উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা জামাল হোসেন মৃধার বিরুদ্ধে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ২০২৩ সালে আমুয়া মৎস্য বাজারের ইজারার আবেদন করেছিলেন আমুয়া এলাকার রাজ্জাকের স্ত্রী জেসমিন বেগম (৩৫) নামে এক নারী। তখন কাঁঠালিয়া উপজেলার উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা জামাল হোসেন মৃধা জানতে পেরে ওই নারীর সাথে যোগাযোগ করেন। তাকে ইজারা পেয়ে দেওয়ার আশ্বাস দেন ওই কর্মকর্তা। তার বিনিময় তৎকালীন কাঁঠালিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিজানুর রহমান চঞ্চলকে ২ লাখ টাকা ঘুষ দিতে হবে বলে জানান তিনি। ইজারা পাওয়ার আশায় জামালকে ২ লাখ টাকা ঘুষ দেন জেসমিন বেগম। যাতে তার চেয়ে বেশি দর দাতা হিসেবে কেউ নিযুক্ত হলেও ইজারা নিতে না পারে। তবে ঘুষ ছাড়া তিনিই সর্বোচ্চ দর দাতা হিসেবে ইজারা পেয়েছিলেন। বিষয়টি জামাল জানতে পেরে টাকা ফেরৎ দিয়ে দিবে বলে জেসমিনকে জানান। কিন্তু টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলে ১ বছর জেসমিনকে ঘুরিয়েও টাকা দেয়নি উদ্ভিদ সংরক্ষণ এ কর্মকর্তা।

এ বিষয়ে তৎকালীন ইউএনও মিজানুর রহমান চঞ্চল বলেন, ইজারা বাবদ আমাকে কেনো টাকা দিবে। যিনি সর্বোচ্চ দর দাতা হিসেবেই নির্বাচিত হয়েছেন তিনি ইজারা পেয়েছিলেন।

জেসমিন বেগম সংবাদিকদের বলেন, ইজারা পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে জামাল আমার কাছ থেকে ২ লাখ টাকা নিছিলো। তবে আমি সর্বোচ্চ দর দাতা হিসেবে ইজারা পেয়েছি। এরপর জামাল নিজেই আমাকে বলছে টাকা ফেরত দিবে কিন্তু ১ বছর চলে গেলেও টাকা ফেরত দেয়নি।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত জামাল হোসেন বলেন, জেসমিন বেগম আমার কাছে প্রথমে ১ লাখ এবং পরে ১ লাখ মোট ২ লাখ টাকা দিয়েছিলো। ১ লাখ টাকা মিজানের কাছে দিয়েছি। বাকি ১ লাখ টাকা তৎকালীন কাঁঠালিয়া উপজেলা প্রশাসনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা নাঈমুর রহমানের কাছে দিয়েছি।

এ বিষয়ে মিজান বলেন, দুই লাখ টাকা থেকে জামাল এক লাখ টাকা আমার কাছে দিছে। বাকি ১ লাখ টাকা অন্য একজনের কাছে দিয়েছে। তার কাছ থেকে ওই টাকা এনে আমাকে দিবে। তবে জেসমিন বেগমের টাকা আপনি কেন নিলেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি সংবাদকর্মীকে বলেন, সেটা আপনাকে কেনো বলবো? আমি কার টাকা নিছি সেটা আমি বুঝবো।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সব অভিযোগ অস্বীকার করে তৎকালীন উপজেলা প্রশাসনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা নাঈমুর রহমান বলেন, কাঁঠালিয়ার উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা জামাল হোসেন মৃধা ও জেসমিন বেগম নামে কাউকে চিনি না এবং তারা কেউ আমার কাছে কোন টাকা দেয়নি।

কাঁঠালিয়া উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা ইমরান বিন ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে শুনতে পেয়েছি জামাল হোসেন টাকা নিছেন। তবে আমার কাছে কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি, অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে বর্তমান কাঁঠালিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নেছার উদ্দিন বলেন, ঘুষ দেওয়া এবং নেওয়া দুইটি অপরাধ। তবে এবিষয়ে আমি কিছু জানি না। যদি কেউ অভিযোগ দেয় তাহলে তদন্ত করে আইনগত ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ