“গাঁয়ে আছে”
— শাহীন খান
গাঁয়ে আছে ফুল পাখি লতা আর পাতা
মিঠে মিঠে সোনা রোদ সুখ প্রেমে গাঁথা।
পিতা মাতা ভাই বোন দিদা দাদা নানা
মামা খালা ফুপা ফুপি সব চেনা জানা।
হিমহিম বায়ু আছে, আছে ধান পাট
রাখালের বাঁশি আছে পুকুরেতে ঘাট।
খেলার সাথী নিয়ে সারাক্ষণ খেলা
সবুজের বন দেখে কেটে যায় বেলা।
বটছায়ে দুপুরেতে কৃষকের ঘুম
হৈচৈ নেই কোন সব নিঝ্ঝুম!
প্রীতি নীতি আছে খুব আছে বন্ধন
সব্বার সুখে হাসি দুখে ক্রন্দন!
আছে আশা ভালোবাসা সবারই দীলে
আমরণ পাশে থাকে সকলেই মিলে।
ডোবা খাল বিল ঝিলে মাছ ভরপুর
রাতে জাগে চাঁদ তারা ঝিঁঝিদের সুর।
হুতুমপেঁচারা সব জাগে তারা নিশি
মন্দিরে পূজো দেন মাসি আর পিসি।
মসজিদে নামাজিরা নামাজ পড়েন
জিকিরেতে আল্লাহু সুরটা ধরেন।
ফেরিয়ালা হাঁক দেন ভেঁপুও বাজান
বুড়ো খুড়ি পানদানে পানটা সাজান।
মাছরাঙা বক চিল দোয়েলা ওড়ে
সক্কোলে মিলে থাকি মায়ারই ডোরে।
গাঁ-ই আমার নিঃশ্বাস প্রাণ মন আঁখি
তার ধুলিকণা যতো শরীরে তা মাখি।
কবি হয়ে লিখি গাই, আঁকি নানা ছবি
যেদিকে তাকাই আমি ভালো লাগে সবই।
আজীবন ভালোবেসে থেকে যাই গাঁয়ে।
কি যে তার স্নেহ পাই যেটা দ্যায় মা’য়ে।
।।।।।।
লেখকঃ – ছড়াকার, কবি, গীতিকার, সুরকার ও ঔপন্যাসিক।