চরফ্যাশন (ভোলা) সংবাদদাতা: চরফ্যাশন ফাতেমা মতিন মহিলা মহাবিদ্যালয়ের অধিনে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টাডি অফিস ও সাইনবোর্ড ভাংচুর করে আলমারি থেকে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস পেপার ও নগদ টাকা নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে অধ্যক্ষ্য ও সমন্বয়কারী মো.হোসেন এর বিরুদ্ধে। এ প্রসঙ্গে স্টাডি সেন্টার পরিচালনার দায়িত্বে থাকা শিক্ষকদ্বয় সহকারী অধ্যাপক মো.ফারুক ও মনিরুল ইসলাম কলেজটির গভর্নিং বডির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং ম্যানেজিং কমিটির সদস্য উপজেলা চেয়ারম্যানসহ চরফ্যাশন থানার অফিসার ইনচার্জকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন। এ বিষয়ে মো. ফারুক বলেন,উন্মুক্তের স্টাডি সেন্টারটিকে দৃশ্যমান করার জন্য প্রায় ৮০হাজার টাকা ব্যয়ে কলেজের একটি পরিত্যক্ত ভবনকে সংস্কার করা হয় এবং সংশ্লীষ্টদের নির্দেশনায় একটি ডিজিটাল সাইনবোর্ড লাগানো হয়। গত ৫ ডিসেম্বর ওই ডিজিটাল সাইনবোর্ডটি ভাঙ্গা হয় এবং ৭ডিসেম্বর কক্ষের আলমারীর তালা ভেঙ্গে এইচএসসি ও বিএ/বিএসএস প্রোগ্রামের কাগজপত্র,মসজিদ তহবিলের নগদ টাকা,পরিক্ষার অ-লিখিত উত্তরপত্র,শিক্ষার্থীদের ১৯,২০ ও ২১ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি সংক্রান্ত অনলাইন কপিসহ টিউটরদের তালিকা,আইডি কার্ড,এসাইনমেন্ট এবং গুরুত্বপূর্ণ দলিল অবৈধ হস্তক্ষেপের মাধ্যমে নিয়ে যান অধ্যক্ষ মো. হোসেন। সহকারী অধ্যাপক মনিরুল ইসলাম বলেন, এমন অবস্থায় উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের কাগজপত্র জটিলতা ও শিক্ষক ও শিক্ষিকাগণ (টিউটর) বিলভাতা থেকে বঞ্চিত হলে ওই স্টাডি সেন্টারের পরিচালনার দায়িত্বে থাকা শিক্ষকগণ এর দায়ভার গ্রহণ করবেনা মর্মে আমরা বিষয়টি ঊর্ধ্বোতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানিয়েছি। এ অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে এর আগেও শিক্ষকগণ অনিয়ম অব্যবস্থাপনা এবং অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ এনে চরফ্যাশন থানায় দুইটি জিআর নং ২৯-১২৪ ও জিআর নং ৩০-১২৫ মামলা এবং সাংবাদিক সম্মেলন করেন বলেও শিক্ষকরা লিখিতভাবে জানান। তাঁরা বলেন, অধ্যক্ষ ও সমন্বয়কারী মো. হোসেন ফাতেমা মতিন মহিলা মহাবিদ্যলয়ে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টাডি সেন্টার ও পরীক্ষা কেন্দ্র স্থাপন পরবর্তী সমন্বয়কারী হওয়ার পর থেকে দূর্নীতি অনিয়ম ও আর্থিক নৈরাজ্যেও পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। এছাড়াও উন্মুক্তের অধীনে পরিচালিত পরীক্ষার্থীদের বডি চেইঞ্জ,প্রত্যয়নপত্র ওসার্টিফিকেট বিক্রিসহ একই নামে সমন্বয়কারী ও টিউটরের বিল উত্তোলন করেন বলেও লিখিতভাবে শিক্ষকগণ দাবি করেন।
এ অভিযোগ অস্বিকার করে মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ্য ও সমন্বয়কারী মো.হোসেন বলেন, স্টাডি পরিচালনার কক্ষ থেকে বা কলেজ থেকে কোনো কাগজপত্র বা ডকুমেন্টস কেউ নেয়নি। উন্মুক্তের কোনো অফিস আমরা ব্যবহার করিনা এবং জেনারেলের সকল কাগজপত্রের সঙ্গে উন্মুক্তের উত্তরপত্র ও পশ্নপত্র হেফাজতেই রাখা হয়।
বডির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আল নোমান বলেন,এ বিষয়ে আমি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এ প্রসঙ্গে অধ্যক্ষ্য হোসেন মিয়া আমাকে জানিয়েছেন, যে তাঁর কাছে চাবি ছিলো সে অফিসের প্রয়োজনেই চাবি দিয়ে তালা খুলে খাতাপত্র ব্যবহার করেছে। ফলে ভাংচুরের বিষয়টি পাল্টাপাল্টি বক্তব্য। তালা ভেঙ্গে কাগজপত্র তছনছের অভিযোগটি তদন্ত করা হবে।