২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
গলাচিপায় পঞ্চবটি আশ্রমে ৭দিন ব্যাপি মহানাম যজ্ঞ অনুষ্ঠিত তৃষ্ণার্ত মানুষদের বিশুদ্ধ পানি খাওয়ালো জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর বাবুগঞ্জে পূর্ব শত্রুতার জেরে যুবককে মারধর ।। পাথরঘাটায় মৎস্য বিভাগের অভিযানে ‘মারধর’, নদীতে ঝাঁপ দিয়ে এক জেলে নিখোঁজ এফডিসিতে সাংবাদিকদের উপর হামলার প্রতিবাদে পিরোজপুরে মানববন্ধন রাঙাবালী তে সালাতুল ইসতিস্কার নামাজ ও দোয়া মোনাজাত পিরোজপুরে ভোটে অংশ নেওয়ায় দল থেকে বিএনপি নেতা বহিষ্কার অন্যায়ের সাথে নয়া দিগন্তের সাংবাদিকরা কখনোই আপোষ করেন না বরগুনায় বাড়ছে ডায়রিয়া রোগী, জায়গা নেই হাসপাতালের মেঝেতেও তালতলীতে পানিতে লাফ দিয়ে কিশোরের মৃত্যু

জন্মনিবন্ধনে ঘুষ বানিজ্যের কথা শুনে খেপে গেলেন বিসিসি মেয়র

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

মজিবর রহমান নাহিদ ::: জন্মনিবন্ধন সংশ্লিষ্ট কাজ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের নাগরিকদের। এ ভোগান্তি লাঘবের কথা চিন্তা করে মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ প্রতিটি ওয়ার্ডেই জন্মনিবন্ধনের কার্যক্রম চালু করেন। তবে তার পরেও বিভিন্ন কারনে জন্মনিবন্ধন কার্যক্রম নিয়ে সাধারন নাগরিকদের ভোগান্তির যেন শেষ হচ্ছেনা!

তবে এবার জন্মনিবন্ধন নিয়ে ফেসবুক লাইভে প্রকাশ্যে মুখ খুললেন মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ। ২৪শে মার্চ রাতে নগরীর বধ্যভূমি পরিদর্শনকালে সিটি কর্পোরেশনের এক কর্মকর্তা নগর ভবনে জন্মনিবন্ধন কার্যক্রম স্থগিত হওয়া প্রসঙ্গে মেয়রকে অবহিত করেন। তখন ১৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রাজিব হোসেন খান মেয়রকে অবহিত করে বলেন, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার (ডিডিএলজি) শাখায় যেসকল নাগরিকরা জন্মনিবন্ধন সংশোধনীর জন্য যায় তাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে সর্বনিন্ম ৫শ’ টাকা করে নেয় জলিল নামে এক কর্মচারী।

এসময় মেয়র বলেন, আমি ৩০টি ওয়ার্ডে জন্মিনবন্ধন কার্যক্রম চালু করে দিলাম যাতে নগর ভবনে আসা না লাগে, যারা যে ওয়ার্ডে বাসিন্দা সে ওয়ার্ডে বসেই সেবা পায়। কিসের জন্য করেছি? জনগনের সেবার জন্য করেছি, এখান দিয়েতো কোন ইনকাম নেই। বরংচ স্টাফদের বেতন, ইন্টারনেট বিলসহ সকল কিছু আমার দেয়া লাগছে কিন্তু টাকাটাতো সরাসরি যাচ্ছে সরকারী কোষাগারে।

মেয়র আরও বলেন,জন্মনিবন্ধনে ভুল হলে সংশোধনীর জন্য যখন ডিডিএলজি অথবা ডিসি অফিসে যায় তখন যদি ৫শ’ টাকা নেয় এটাতো অন্যায়। তার বিরুদ্ধে একশন নেওয়ার জন্য ডিসি সাহেবকে বলবো আমি, সিটি কর্পোরেশনের যেসব স্টাফরা এই অন্যায়ের কাজের সাথে জড়িত ছিলো তাদের কিন্তু ইতিমধ্যে চাকরি দিয়ে বাদ দিয়ে দিছি।

এসময় মেয়রকে অবহিত করে ৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কেফায়েত হোসেন রনি বলেন, ভাই এটা আমাদের দিলে আমরা ইমারজেন্সিভাবে ২ থেকে ৩দিনের মধ্যেই করে দিতে পারি। এতে সাধারন মানুষের ভোগান্তি থাকে না।

মেয়র বলেন, জন্মনিবন্ধন কার্যক্রমটি পুরোপুরি সিটি কর্পোরেশনের কাছেই হওয়া উচিত ছিলো, ডিডিএলজির কাছে গিয়েই মানুষ ভোগান্তিতে পড়ছে।

সামনে নির্বাচনে তাই ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে জানিয়ে মেয়র বলেন, সামনে নির্বাচন তাই বিদ্যুত কাইট্যা দেয়, এইটা-ওইট্যা কইর‌্যা বুঝাইতে চায় আমি ব্যার্থ! বিষয়টি স্থানীয় সরকার মন্ত্রীকে অবহিত করবো আমি। আমি এখানে জনগনের সেবা করতে এসেছি, ভোগান্তি দিতে না।

এসময় সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ