৬ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
শব্দ দূষণ প্রকট আকার ধারণ করেছে বরিশাল নগরীতে দুমকীর নতুন বাজারে শাহজাহান শিকদারের নির্বাচনী অফিস উদ্বোধন লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল এর শুভ জন্মদিন আজ (৬ মে) দুমকিতে চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহজাহান শিকদার এর নির্বাচনী অফিস উদ্বোধন পিরোজপুরে ভোট বর্জনের আহ্বান জানিয়ে বিএনপির লিফলেট বিতরণ মনপুরায় জেলেদেরকে মা*রধ*র করে টাকা ছি*নিয়ে নিল মৎস্য কর্মকর্তারা! আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় ঝালকাঠি সদরে নারী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীকে শোকজ বরিশালের দুই উপজেলায় ৬৬ শতাংশ কেন্দ্র গুরুত্বপূর্ণ বরিশালে ৮ঘন্টা বন্ধ থাকার পর ফের বাস চলাচল স্বাভাবিক ইন্দুরকানীতে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আ.লীগ নেতার পাঠাগারে আগুন

ঝালকাঠির বাসন্ডা বেইলি ব্রিজ ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণার ৭ বছরেও নির্মাণ হয়নি নতুন সেতু

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

মাসুম খান, ঝালকাঠি :::: বরিশাল-খুলনা মহাসড়কের ঝালকাঠির বাসন্ডা নদীর ওপর বাসন্ডা বেইলি সেতুটিকে সাতবছর আগেই সেতুবিভাগ ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করলেও এখন পর্যন্ত নির্মাণ হয়নি নতুন সেতু। সেতুটি ভেঙে যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনার ঘটতে পারে বলে আশংকা করছেন যান চালক ও স্থানীয়রা। কিছুদিন পরপর সেতুর ওপরের প্লেটে ঝালাই দিয়ে মেরামত করে আসছে সেতু কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে সেতুর ওপরের প্লেটে ৬০০ টির অধিক তালি দেয়া হয়েছে।

সেতু এলাকার বাসিন্দারা জানান, ৭ বছর আগে এটি ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করলেও অদ্যবদি নতুন সেতু নির্মাণে কার্যকর উদ্যোগ নেয়নি সড়ক ও সেতু বিভাগ। বরং প্রতিবছর সেতু সংস্কারে ব্যয় করা হচ্ছে বিপুল পরিমাণ অর্থ। শেষ পাঁচ বছরেই সেতুটি সংস্কারে ব্যয় হয়েছে প্রায় এক কোটি টাকা।

স্থানীয়রা সেতুটির নাম দিয়েছেন ‘সড়ক বিভাগের ডিম পাড়া হাঁস’। তাদের দাবি, এটি যতবার মেরামত করা হয় ততবারই লাভবান হয় ঝালকাঠি সড়ক বিভাগের অসাধু কর্মকর্তারা।

অনুসন্ধানে জানা যায়, টেন্ডার ছাড়া নিজস্ব তত্ত্বাবধানে বছরে তিনবার সেতুটি মেরামত করে থাকেন কর্তৃপক্ষ। প্রতিবার মেরামতে খরচ হয় ৬ লাখ টাকা।

ঝালকাঠি সড়ক বিভাগের উপবিভাগের প্রকৌশলী হুমায়ুন কবিরের দেয়া হিসাব অনুযায়ী, সেতুটির কিছু প্লেট পরিবর্তন ও ঝালাইয়ের কাজে গত পাঁচ বছরে তাদের ব্যয় হয়েছে প্রায় ১ কোটি টাকা। তবে মেরামত খরচের হিসেব সাংবাদিকদের দিতে নারাজ ঝালকাঠি সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ নাবিল হাসান।

ঝালকাঠি সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ নাবিল হাসান জানান, ঝুঁকিপূর্ণ বাসন্ডা বেইলি সেতুটি কংক্রিট দিয়ে নির্মাণ করার জন্য ডিজাইন ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। ডিপিপি বাস্ত বায়ন হলে শীঘ্রই ওখানে নতুন সেতু নির্মাণ করা হবে।

এ সেতুর নিকটে থাকা গাবখান টোলপ্লাজা থেকে জানা যায়, এ রুট দিয়ে প্রতিদিন ৫ থেকে ৭ শতাধিক ভারী যানবাহন চলাচল করে। যা বাসন্ডা সেতুর উপর দিয়ে চলাচল করে। বারবার মেরামত করা হলেও সেতুটি কয়েক দিনের মধ্যেই ফের যান চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। নাট-বল্টু খুলে পড়ার পাশাপাশি প্রতিনিয়ত ফেটে যাচ্ছে উপরের অংশের প্লেট।

স্থানীয় জামাল, কামাল, কালু, হালিম বলেন, রাতে বিকট শব্দে আশেপাশের এলাকার মানুষ ঘুমাতে পারে না। সেতুটি ভেঙে পড়লে ঝালকাঠি থেকে পিরোজপুর, বাগেরহাট, খুলনা ও যশোরের সড়ক যোগাযোগ সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যাবে।

খুলনা থেকে বরিশালগামী ট্রাকচালক ফিরোজ গাজী বলেন, ‘আনলোড গাড়ি ব্রিজে উঠলে ব্রিজ দুলতে থাকে, আর লোড নিয়া উঠলে ভয়ে বুকটা ধরফর করতে থাকে।’

কুয়াকাটা থেকে বেনাপোলগামী সেভেনস্টার পরিবহনের চালক মনিরুজ্জামান বলেন, ‘গাড়ি নিয়া ব্রিজে ওঠলে মনে হয় ভূমিকম্প হইতেছে, এইটা হঠাৎ একদিন ভাইঙা পড়বে, সেদিন বেশি দূরে নয়।’

এ রুটে নিয়মিত চলাচলকারী বাস ডলফিন পরিবহনের চালক মালেক হাওলাদার বলেন, ‘রাতে ব্রিজ পার হওয়ার সময় যে শব্দ হয় তাতে মনে হয় গাড়ির চাকা থেকে টায়ার খুলে গেছে। ব্রিজটি ভেঙে পড়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। মেরামতে আর কাজ হবে না। এখন নতুন করে নির্মাণ করা দরকার।’

সওজের বরিশাল জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আবু হেনা মো. তারেক ইকবাল প্রতিবেদকে বলেন, ফলোআপ প্রকল্প প্রস্তাব তৈরির জন্য ওয়েস্টার্ন বাংলাদেশ ব্রিজ ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্টের প্রকল্প পরিচালকের কাছে সম্ভাব্য সেতুর যে তালিকা চূড়ান্ত করার জন্য চিঠি দেয়া হয়েছে তার মধ্যে বাসন্ডা সেতুটি রয়েছে। অনুমোদন পেলেই নতুন সেতু নির্মাণ করা হবে।

সর্বশেষ