নারায়ণগঞ্জে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী জিসামণিকে (১৫) নৌকায় করে ঘুরতে নিয়ে ধর্ষণের পর হত্যা করে লাশ ফেলে দিয়েছিল তিনজন। ঘটনার ৩৫ দিন পর রবিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মিল্টন হোসেন ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ হুমায়ুন কবিরের পৃথক আদালতে এই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় ওই তিন আসামি।
আসামিরা হলো—বন্দরের খলিলনগরের আমজাদ হোসেনের ছেলে আব্দুল্লাহ (২২), বুরুণ্ডি পশ্চিমপাড়ার সামসুদ্দিনের ছেলে রাকিব (১৯) ও নৌকার মাঝি খলিল (৩২)।
আসামিরা আদালতে বলে, প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে জিসামণিকে ডেকে নেন আব্দুল্লাহ। পরে তিন আসামি তাকে নৌকায় করে শীতলক্ষ্যায় ঘুরতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেন। এরপর রাকিবের সহায়তায় আব্দুল্লাহ ও খলিল মেয়েটিকে হত্যা করে নদীতে ফেলে দেন।
গত ৪ জুলাই থেকে নিখোঁজ হয় নারায়ণগঞ্জ শহরের এল এন রোড এলাকার এক ব্যক্তির মেয়ে জিসামণি। এ ঘটনায় ৬ আগস্ট নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় অভিযোগ করেন তার বাবা।
মামলায় মেয়ের বাবা উল্লেখ করেন, ‘আমার মেয়ের সঙ্গে আব্দুল্লাহ যোগাযোগ করত। সে তাকে স্কুলে যাওয়া-আসার পথে প্রেমের প্রস্তাব দিত। এতে বাধা দিলে মেয়েকে অপহরণের হুমকি দিত। ৪ জুলাই সন্ধ্যায় আব্দুল্লাহ ফোনে ঠিকানা দিলে আমার মেয়ে সেই ঠিকানায় যায়। পরে তাকে গাড়ি দিয়ে অপহরণ করে আব্দুল্লাহ ও তার সহযোগীরা। এরপর থেকেই মেয়ের খোঁজ নেই।