পিরোজপুর প্রতিনিধি : পিরোজপুরের নেছারাবাদে জমি দখল করতে দু’ডজন মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানীর অভিযোগ পাওয়া গেছে। আর এর প্রতিবাদে ও এর প্রতিকার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন উপজেলার সেহাংগল গ্রামের আব্দুল মজিদ খান। শুক্রবার (২১ মে) বেলা ১১টায় তিনি পিরোজপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এমন অভিযোগ করেন। অভিযুক্ত পিরোজপুর জেলা আদালতের আইনজীবি সহকারী মিনতী রানী একই এলাকার ও পার্শ্ববর্তী কুমুদ বিহারী মন্ডলের কন্যা।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, তার স্ত্রী ফিরোজা বেগম গত ১৯৯১ সালে ও পুত্র জামাল খান ২০০৫ সালে একই এলাকার পার্শ্ববর্তী বাড়ির কুমুদ বিহারী মন্ডল ও তার বড় ছেলে মনরঞ্জন মন্ডলের কাছ থেকে যথাক্রমে ৫৫শতাংশ ও ৪৯ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। ওই জমি দখল করতে কুমুদ বিহারীর কন্যা মিনতী মন্ডলের নির্দেশে তাকে (মজিদ) সহ তার ছেলেদের নামে হত্যা, গুম সহ পর পর ২৫টি মামলা দিয়েছেন। গত ১৯৯৪ সালে তার (মিনতী) ভাই মনোরঞ্জনকে অন্যত্র সরিয়ে তার (মনোরঞ্জন) স্ত্রীকে দিয়ে তিনি (মজিদ) ও স্থানীয় ৯জন হিন্দু সহ ১১ জনের নামে হত্যা মামলা , একই বছর মিনতী রানীর শ্লীলতা হানীর অভিযোগ করে তিনি (মজিদ) সহ ৩জনকে, পরে ১৯৯৫ সালে তার বোন আরতী মন্ডলকে নিখোজ দেখিয়ে ৪ জনের নামে গুম মামলা দায়ের করেন। ওই সব মামলায় আদালত তাকে (মজিদ) সহ সকলে বেকসুর খালাস দেন। একই সাথে মামলাগুলো মিথ্যা প্রমানিত হয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি ওই মিনতী রানী ওই জমিতে থাকা গাছ-পালা কেটে নেয়। এমন কি জমি দখল করতে পায়তারা করছে।
তিনি আরো উল্লেখ করেন, ওই জমি দখল করতে তিনি সেখানে বিভিন্ন মন্দির স্থাপনের হুমকী প্রদান করছেন। বিষয়টি পুলিশ সুপার সহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে অভিযুক্ত মিনতী রানী মন্ডলের মুঠো ফোনে ফোন দিলে তিনি জানান, তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মিথ্যা দাবী করেন। তিনি বলেন, অভিযোগকারী মজিদ খান আমার পিতাকে ভুল বুঝিয়ে বাবার জমি দলিল করে নিয়ে যান।